‘ফাগলা কুত্তায় কামরাইলে পাসপোর্ট অফিসে আইয়ো’- সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের ভেতর দিককার দেয়ালে লিখে রেখেছেন কেউ একজন।
‘ফাগলা কুত্তা’ মানে পাগলা কুকুর। এই আক্ষেপ কার- জানেন না কেউ। তবে আরও অনেকে তাদের নাম বা মোবাইল ফোন নম্বর উল্লেখ করেও লিখেছেন দুর্ভোগের কথা।
এই দেয়ালেই কাদির আহমদ নামের একজন নিজের মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘এতো কষ্ট জানলে আগে আইতাম না।’
ওই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে কাদির নিশ্চিত করেন তিনিই বাক্যটি লিখেছেন। কারণ জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হারা দিন ধরি লাইনে উবাইয়া (না খেয়ে) আছলাম। কিচ্ছু খাইতে পারছি না। পানিও না। বাইর হইলেই যদি সিরিয়াল মিস করি লাই, ডরে তাই লাইন ছাড়ছি না। খুব বিরক্ত লাগছিল। একদিকে ক্ষুধা, আরেক দিকে সারা দিন উবাইয়া (না খেয়ে) থাকিয়া পাওয়ো (পায়ে) বেদনা, বিরক্তি, সব মিলিয়া কান্দতে (কাঁদতে) ইচ্ছা করছিল। এর লাগি মনের দুঃখে দেওয়ালো (দেয়ালে) ইতা লেখছি।’
পাসপোর্ট আবেদন জমা দেয়ার সময় নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, সকাল ৭টায় গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে রাত ৮টায় বের হয়ে আসেন। একের পর এক লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সেদিন জীবনের সবচেয়ে বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
কাদিরের মতো অসংখ্য মানুষের হাহাকার, ক্ষোভের কথা ছড়িয়ে আছে পাসপোর্ট অফিসের ভেতর দিকের দেয়ালজুড়ে।
দালালের দৌরাত্ম্য, লোকবল সংকট আর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ অফিসে আসা সেবাগ্রহীতাদের দুর্ভোগ আর হয়রানি চরমে পৌঁছেছে। সারা দিন পেরিয়ে রাত পর্যন্ত পাসপোর্ট আবেদনকারীদের দীর্ঘ লাইন লেগে থাকে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লকডাউনের পর বিশ্ব শ্রমবাজার খুলে যাওয়া ও শিক্ষার্থী ভিসায় বিদেশ যাওয়ার হিড়িকের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে পাসপোর্ট আবেদনের হার অনেক বেড়েছে। এই চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
দেয়ালজুড়ে হাহাকার
সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের অবস্থান। অফিসের ফটক দিয়ে ঢুকলেই পাসপোর্টের আবেদন জমা ও পাসপোর্ট গ্রহণ করার আলাদা কাউন্টার। এরপর একটি সরু গলি পেরিয়ে পাসপোর্টের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার একাধিক কাউন্টার। ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার জন্য প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয় আবেদনকারীদের। ফলে সব সময় ভিড় লেগে থাকে।
এখানকার দেয়ালের রং হলদেটে সাদা। তবে ক্ষোভ-হাকারের অক্ষরে এই রং হারিয়ে ফেলেছে দেয়ালটি। পুরো দেয়ালজুড়ে এখন কালো ছোপ ছোপ, লালও আছে কোথাও। কলমের কালিতে দেয়ালজুড়ে নিজেদের দুর্ভোগ আর তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন পাসপোর্টগ্রহীতারা।
বেশির ভাগ লেখাই অস্পষ্ট হয়ে গেছে। তবে কিছু কিছু বেশ পরিষ্কার।
একজন লিখেছেন, ‘পাসপোর্ট তৈরি করতে আসলে কিয়ামতের ডাক এসে যাবে। তাই টিফিনসহ যাবতীয় জরুরি জিনিস সাথে আনবেন। নইলে বুঝবেন ঠেলা কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী?’
আরেকজন লিখেছেন, ‘পাসপোর্ট অফিস আমারে দেশ ছাড়ার শিক্ষা দিল!’
এই লেখার নিচে ইংরেজি হরফে লেখা জুবায়ের আহমদ।
এর পাশেই লেখা, ‘ভাইরে সারা জীবন মনো থাকবো’, ‘যত জীবন বাচমু মনো থাকবো রে ... (গালি)’, ‘সকাল ৬টা থেকে অপেক্ষা করতেছি। উৎসাহ পেলে সারাজীবন করবো। হাহা খুব মজা লাগতেছেরে ভাই।’
একজন লিখেছেন, ‘কারো মরার ইচ্ছে হইলে পাসপোর্ট অফিসে আসুন’, একটি বাক্য এমন- ‘জীবনে যা গুণাহ করছি তার প্রায়শ্চিত্ত।’
দেয়ালে আরও লেখা আছে, ‘বাংলাদেশে যত দুর্নীতি আছে, তার বেশিরভাগই পাসপোর্ট অফিসে হয়’, ‘আমি নিজ ইচ্ছায় স্বীকার করছি, স্কুলে এসএমব্লি (এসেম্বলি) ভাগার জন্য এই শাস্তি’, ‘জীবনে যা পাপ করেছি তার ফল।’
সৌরভ নামে একজন লিখেছেন, ‘সকাল ৮টা থাকি রাইত ৯টা পর্যন্ত উবা (না খাওয়া)। মাদার বোর্ড হকল।’
সেবাগ্রহীতাদের এ রকম অসংখ্য অভিযোগ আর হাহাকার ধারণ করে আছে এই দেয়াল।
দেয়ালের এই লেখাগুলো চোখ এড়ায়নি সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক একেএম মাজহারুল ইসলামের।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সেই দুর্ভোগের কথা তারা দেয়ালে লিখে রাখছে। তবে আবেদনকারীদের তো একদিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়, কিন্তু আমাদের প্রতিদিন এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা। কিন্তু অতিরিক্ত আবেদনের চাপে আমাদের সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অফিস করতে হয়। তখন পর্যন্ত ভিড় থাকে। আমাদের এই দুর্ভোগের কথা আমরা কোথায় লিখব!’
পাসপোর্ট অফিসে এক ঘণ্টা
পাসপোর্ট অফিসে দুপুর ১২টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে ও বাইরে চারটি লাইন। চারটি লাইনের প্রতিটিতেই দাঁড়িয়ে আছেন শতাধিক মানুষ। একটি লাইন আবেদন জমা দেয়ার, একটি রোহিঙ্গা পরীক্ষা আর অপর দুটি ফিঙ্গার প্রিন্টের।
আবেদন জমা দেয়া আর রোহিঙ্গা পরীক্ষার লাইনগুলো অফিস ভবনের বাইরে। খোলা আকাশের নিচে রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন গ্রহীতারা।
শোয়েব আহমদ নামে এক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। অথচ হঠাৎ করে লাইনের বাইরে থেকে আসা একজনের আবেদন পরীক্ষা করা হচ্ছে। এভাবে মাঝে মাঝেই লাইন ভেঙে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে।’
তবে রোহিঙ্গা পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা পাসপোর্ট অফিসের এক কর্মী এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন, যদিও তিনি তার নাম প্রকাশ করতে চাননি।
ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সজল মালাকার বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, কিন্তু সামনে এগোচ্ছেই না। খুব মন্থর গতিতে কাজ চলছে। এভাবে চলতে থাকলে সারা দিনেও এই লাইন শেষ হবে না।’
দোতলায় পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে গিয়েও দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। এই লাইনে দাঁড়ানো সবাই নানা অভিযোগ নিয়ে এসেছেন।
তাদের একজন সালেহ আহমদ। মাস দেড়েক আগে পাসপোর্টের আবেদন জমা দিয়েছিলেন। নির্ধারিত তারিখ পেরিয়ে গেলেও তার পাসপোর্ট আসেনি। পাসপোর্ট বিতরণ কাউন্টারের লোকজন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপর পরিচালকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন সালেহ।
সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলামের কক্ষে ঢুকে সালেহ আহমদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি সালেহকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে আসেন।
এরপর তার আবেদনপত্রের স্লিপ কম্পিউটারে পরীক্ষা করে বলেন, ‘সালেহ আহমদ পাসপোর্টের আবেদনে নিজের নামের যে বানান লিখেছেন, তার সঙ্গে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নামের বানানের মিল নেই। এক জায়গায় ‘ই’ এর বদলে ‘এ’ লিখেছেন তিনি। ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে সামান্যতম ভুল থাকলেও পাসপোর্ট দেয়া হয় না। ঢাকা থেকেই এটি করা হয়। এতে আমাদের কিছু করার থাকে না।’
সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখানে এ ধরনের সমস্যাই বেশি। মানুষজন আবেদনে ভুল করেন। এরপর আমাদের দোষারোপ করেন।’
ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীদের সব তথ্য সঠিকভাবে দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
আবেদনের এই ভুল প্রসঙ্গে সালেহ আহমদ বলেন, ‘আমি তেমন লেখাপড়া জানি না। ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে আবেদন করেছিলাম। আবেদন জমা দেয়ার সময় পাসপোর্ট অফিসের কর্মীরাও ভুল থাকার কথা বলেননি। এখন বলা হচ্ছে ভুল ছিল।’
পরিচালকের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে কথা হয় আশরাফ আলী মণ্ডল নামে আরেক আবেদনকারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার বাবার নাম আনসার আলী মণ্ডল। আমার সব সার্টিফিকেটে এমনটিই লেখা রয়েছে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্রে আমার বাবার নামের শেষাংশের ‘মণ্ডল’ যুক্ত করা হয়নি। আমি আমার পাসপোর্টের আবেদনে বাবার পুরো নামটাই লিখেছিলাম। এখন পাসপোর্ট আটকে দেয়া হয়েছে।’
আবেদনকারী আনসার আলী বলেন, ‘আমি উচ্চ শিক্ষা নিতে যুক্তরাজ্যে যাব। আগামী মাসেই আমার সেখানে পৌঁছানোর কথা। এখন পাসপোর্ট না পেলে আমি যাব কীভাবে?’
অভিযোগের অন্ত নেই
সিলেট পাসপোর্ট অফিস নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই গ্রাহকদের। অনিয়ম, দুর্নীতি আর মানুষজনকে অহেতুক হয়রানির অভিযোগ এই অফিসের কর্মরতদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, পাসপোর্ট অফিস ঘিরে গড়ে উঠেছে একটি দালাল সিন্ডিকেট। এই দালালদের মাধ্যমে আবেদন এলে আর লাইনে দাঁড়াতে হয় না। দ্রুতই সব কাজ হয়ে যায়। আর দালালদের মাধ্যমে না এলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাকিল আহমদ চৌধুরী বলেন, “আমি অনলাইনে আবেদন করি। কিন্তু ‘গিভেন নেম’ না লেখার কারণ দেখিয়ে আমার আবেদন বাতিল করা হয়। কিন্তু অনলাইনে সংশোধন করার ব্যবস্থা নেই। পাসপোর্ট অফিসের লোকজন এটি সংশোধন করতে পারেন, তবে তারা করেননি। অথচ দালালদের মাধ্যমে যারা আবেদন করেন তাদের এ রকম ভুল থাকলেও কোনো সমস্যা হয় না।”
একাধিক পাসপোর্টগ্রহীতার অভিযোগ, দালালদের মাধ্যমে পাসপোর্টের আবেদন করলে আবেদনের ফরমে তারা একটি চিহ্ন দিয়ে দেয়। এই চিহ্ন থাকলে আর লাইনে দাঁড়াতে হয় না। আবেদনে ছোটখাটো ভুল থাকলেও সমস্যা হয় না, কিন্তু দালাল ছাড়া এলেই দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আবেদনকারী জানান, একটি ট্রাভেল এজেন্সিকে বাড়তি এক হাজার টাকা দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করেন তিনি। আবেদন ফরম পূরণ করাসহ বাকি সব প্রক্রিয়া ওই ট্রাভেল এজেন্সিই করবে।
অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্ট অফ বাংলাদেশের (আটাব) সিলেট অঞ্চলের সাবেক সভাপতি আব্দুল জব্বার জলিল বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য হয়রানি নিয়ে অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। দালালদের মাধ্যমে পাসপোর্ট জমা না দিলে হয়রানির শিকার হতে হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। মানুষজনের এমন হয়রানি দূর করতে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদেরই উদ্যোগী হতে হবে।’
তবে দালালদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ অস্বীকার করে পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এখন তাদের একেবারে উৎপাত নেই। আমি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সব মনিটর করি। এখন কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। তবে আবেদনের চাপ বাড়ায় মানুষজনকে কিছু দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
লোকবল সংকট, যান্ত্রিক ত্রুটি
পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন তরুণ চিত্রশিল্পী দ্বীপ দাস। সেই আবেদন জমা দিতেই দুদিন লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে তাকে।
দীপ দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি আগের দিন সকাল থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সারা দিন পর বলা হয়, সার্ভার নষ্ট। পরদিন সকাল ৭টা থেকে আবার লাইনে দাঁড়াই। এরপর দুপুরের দিকে আমার ছবি তোলা ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়া হয়।’
এমন দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন আরও অনেক পাসপোর্টগ্রহীতা। লোকবল সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন পাসপোর্ট অফিসের সংশ্লিষ্টরা।
পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক একেএম মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এই অফিসে ৩২টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ১৯ জন। ডিএডি, অ্যাকাউন্টেন্ট ও কয়েকটি অপারেটরের পদ খালি রয়েছে।
যান্ত্রিক ত্রুটি এখানে সব সময় লেগে থাকে। সার্ভার বিকল হয়ে যায়। নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকে। আজকেও জাতীয় পরিচয়পত্র পরীক্ষার সার্ভার নষ্ট। এগুলো ঢাকা থেকে ঠিক না করলে আমাদের কিছুই করার থাকে না। এ কারণে মানুষজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।’
মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউনের পর থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ আবেদন গ্রহণ করতে হচ্ছে। আমার ২০ বছরের চাকরিজীবনে এ রকম চাপ কোনো দিন দেখিনি। অথচ এই চাপ সামলানোর মতো লোকবল ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি আমার নেই। ফলে এখানে সব সময়ই ভিড় থাকে। মানুষ এসব সমস্যা বুঝতে চায় না। তাদের দুর্ভোগের পাশপাশি আমাদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’