বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি হাসপাতালে ৯৭ শতাংশ রোগী ওষুধ পায় না

  •    
  • ২১ নভেম্বর, ২০২১ ১৪:২৫

গবেষণায় বলা হয়, ওষুধের খাতে রোগীদের ব্যয় হয় ৬৪ ভাগ আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা খাতে ব্যয় হয় ৮ ভাগ। হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগ থেকে সেবা নিতে তাদের ১২ ও ১১ ভাগ ব্যয় করতে হয়। এ ছাড়া, গ্রামে বিস্তৃত সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা যথাযথ না থাকা এবং শহরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা পর্যাপ্ত না থাকায় রোগীরা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সেবা নিতে বাধ্য হন।

রাজধানীর কড়াইল বস্তির বাসিন্দা আব্দুর রহিম। অসুস্থ বাবাকে এক সপ্তাহ আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এখন পর্যন্ত স্যালাইন ছাড়া একটি ওষুধও মেলেনি হাসপাতাল থেকে। বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় ওষুধ।

শুধু আব্দুর রহিমের বাবা নন, দেশে সরকারি হাসপাতালের ৯৭ শতাংশ রোগীই বিনা মূল্যে কোনো ওষুধ পায় না।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের করা একটি গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. নুরুল আমিন গবেষণা প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন।

সেখানে দেখা যায়, মাত্র ৩ শতাংশ রোগী সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনা মূল্যে ওষুধ পেয়ে থাকেন। একই সঙ্গে মাত্র ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা সরকারি হাসপাতালে করা হয়ে থাকে।

এ তথ্য অনুযায়ী, সেবা গ্রহণকারী বেশির ভাগ রোগীকে হাসপাতালের বাইরে থেকে ওষুধ কেনাসহ পরীক্ষা করায় তাদের চিকিৎসা ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যায়। এতে অনেকে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।

প্রবন্ধে বলা হয়, ওষুধের খাতে রোগীদের ব্যয় হয় ৬৪ ভাগ আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা খাতে ব্যয় হয় ৮ ভাগ। হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগ থেকে সেবা নিতে তাদের ১২ ও ১১ ভাগ ব্যয় করতে হয়। এ ছাড়া গ্রামে বিস্তৃত সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা যথাযথ না থাকা এবং শহরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা পর্যাপ্ত না থাকায় রোগীরা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সেবা নিতে বাধ্য হন।

স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের পরিচালক নুরুল আমিন বলেন, ‘ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব ধরনের ওষুধ কেনার সুযোগ থাকায় ও উৎপাদনকারী কোম্পানির মাত্রাতিরিক্ত বিপণনের ফলে স্বীকৃত চিকিৎসকদের পাশাপাশি পল্লি চিকিৎসকরাও ব্যবস্থাপত্রে অতিরিক্ত ওষুধ লেখেন। এতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ওষুধ সেবনেও রোগীর ব্যয় বেড়ে যায়।

‘জরুরি ওষুধের তালিকা সংশোধন ও সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপত্রে নিয়মনীতি মেনে ওষুধের ব্র্যান্ড নাম ব্যবহারের পরিবর্তে জেনেরিক নাম ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলে এ ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালে অ্যাক্রিডিটেশন পদ্ধতি না থাকা এবং এর সেবা মান ও মূল্যের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নজরদারি থাকায় সেবা গ্রহণকারী জনগণ প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এ বিভাগের আরো খবর