আদালতের নির্দেশের পরও সাভারের বংশী নদী দূষণ ও অবৈধ দখলদারদের বিষয়ে প্রতিবেদন না দেওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল দিয়েছে হাইকোর্ট।
অন্য তিনজন হলেন, ঢাকার জেলা প্রশাসক, সাভারের সহকারী ভূমি কমিশনার ও সাভার থানার ওসি।
তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি করে রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে বংশী নদীতে দখল-দূষণ নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গিলে খাচ্ছে রাজধানীর উপকণ্ঠের বংশী নদী। এ নদীর বিরাট এলাকা প্রভাবশালীদের দখলে থাকলেও উদ্ধারে উদ্যোগ নেই। নদীর মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব কারণে ভালো নেই সাভার উপজেলার ৪০ থেকে ৪২ লাখ বাসিন্দা।
পরে প্রতিবেদনটি যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন সাভারের স্থানীয় বাসিন্দা ব্যারিস্টার মো. বাকির হোসেন।
ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর রুলসহ আদেশ দেয় হাইকোর্ট। আদেশে বংশী নদীর দূষণ বন্ধ এবং ৩০ দিনের মধ্যে দূষণ ও দখলদারদের বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়াপদা), রাজউক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, সাভারের নির্বাহী অফিসার, সাভারের ভূমি কর্মকর্তা, ঢাকা জেলার এসপি ও সাভার থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেয় আদালত।
কিন্তু দুই বছরেও প্রতিবেদনটি না দেওয়ার বিষয়টি রোববার আদালতের নজরে আনেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী বাকির হোসেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট আদালত অবমাননার রুল জারি করে।