পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে তিনটি কালীমন্দিরের ১০টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়ন থেকে ওই দুই ব্যক্তিকে শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন, ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শক্তিচন্দ্র পাল ও তার সমর্থক সনাতন পাল।
দুপুরে পুলিশের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাকিবুল ইসলাম।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বহুবাধ, ঠাকুরপাড়া ও দোমুর্কী কালীমন্দিরের ১০টি প্রতিমা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ২৮ নভেম্বর আলোয়াখোয়া ইউনিয়নে ভোট। নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্যপদে লড়ছেন বর্তমান সদস্য শক্তিচন্দ্র পাল ও শাহাজান আলী।
তাদের অভিযোগ, হিন্দু সম্প্রদায় অধুষ্যিত এই এলাকায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা সৃষ্টি করতে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।
আলোয়াখোয়া এলাকার বিপ্লব চন্দ্র বলেন, ‘শুনেছি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় আমাদের সম্প্রদায়ের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। ভোটের জন্য তারা এই অপকর্ম করলে আমাদেরই মানসম্মান নষ্ট করা হয়েছে। এর বিচার হওয়া চাই।’
জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিপেন চন্দ্র রায় বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় যারাই জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করা হোক। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তবে তদন্তে আরও ঘটনা বেরিয়ে আসতে পারে। এ ঘটনায় কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’