বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অনুশীলনের সময় পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর প্রতিবাদ পতাকা পুড়িয়ে

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:৫৪

‘মুক্তিযুদ্ধের সময় এই মিরপুরই পাকিস্তানের ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে পরিচিত ছিল। এত বছর পর এসে যখন আমরা দেখি সেই মিরপুরে পাকিস্তানের পতাকা উড়ছে, তখন আমরা ব্যথিত হই।

শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলনে পাকিস্তান দলের জাতীয় পতাকা ওড়ানোর প্রতিক্রিয়ায় দেশটির পতাকায় আগুন দিয়েছে একটি সংগঠন। এই কাজটিকে নিয়মবিরুদ্ধ দাবি করে পাকিস্তানের ক্রিকেট দলকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবিও জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে সংগঠনের মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়।

বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নীরব থাকায় বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অপসারণেরও দাবি জানানো হয় এতে।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় এই মিরপুরই পাকিস্তানের ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে পরিচিত ছিল। এত বছর পর এসে যখন আমরা দেখি সেই মিরপুরে পাকিস্তানের পতাকা উড়ছে, তখন আমরা ব্যথিত হই।

‘কিন্তু এ ঘটনার তিন দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ড বেইমানি করেছে। আমরা মনে করছি বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন পাকিস্তানের সমর্থনে কাজ করছেন। আমরা তার দ্রুত অপসারণ চাই।’

'পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে আমরা প্রমাণ করতে চাই পাকিস্তানকে ঘৃণা করার মতো এখনও বাংলাদেশে অনেক মানুষ আছে' যোগ করেন বুলবুল।

সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট দল বাংলাদেশের পতাকা বিধি লঙ্ঘন করে তাদের পতাকা উড়িয়ে আমাদের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযু্দ্ধকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে এর জবাব দিতে হবে।’

বিসিবি সভাপতিকে উদ্দেশ করে আল মামুন বলেন, ‘আপনার মা আইভী রহমানকে যে গ্রেনেড দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে, সেটি ছিল পাকিস্তানের সরবরাহ করা। আপনি কীভাবে পাকিস্তানের অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন?

‘আপনি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। দ্রুত পদত্যাগ করুন। আমরা আর কোনো তামাশা দেখতে চাই না।’

সংগঠনটির উপদেষ্টা ভাস্কর রাশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেটও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর