বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সততা ছিল বলেই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:০২

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির নানা দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে মাত্র ১২ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নতি করেছে, সেই উন্নতি কী সম্ভব হতো যদি সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে আমরা কাজ না করতাম? কখনোই হতো না। আমরা তো এ দেশে দেখেছি, নিজের দেশের অর্থ অন্যের হাতে তুলে দিয়ে সেই অর্থ আবার কমিশন হিসেবে খেতে।’

নিষ্ঠা, সততা, দেশপ্রেম ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তা ছিল বলেই ১২ বছরে বাংলাদেশে এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনের চতুর্থ দিন বুধবার সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেনের মৃত্যুতে সংসদে আনা শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন করতে হলে নিষ্ঠাবান হতে হবে, দেশপ্রেম থাকতে হবে; দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েই একটা দেশের উন্নতি করা যেতে পারে। সততা নিয়ে কাজ করলেই উন্নয়ন করা যেতে পারে। তা ছাড়া যে করা যায় না, পচাত্তরের পর ২১টা বছর দেখেছি।’

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির নানা দিক তুলে ধরে সংসদ নেতা বলেন, ‘আজকে মাত্র ১২ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নতি করেছে, সেই উন্নতি কী সম্ভব হতো যদি সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে আমরা কাজ না করতাম? কখনোই হতো না। আমরা তো এ দেশে দেখেছি, নিজের দেশের অর্থ অন্যের হাতে তুলে দিয়ে সেই অর্থ আবার কমিশন হিসেবে খেতে।’

এমন ঘটনার চেয়ে লজ্জার কিছু নেই মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমার দেশের প্রতিটি পাই পাই টাকা দেশের মানুষের উন্নয়নে ব্যয় হবে, দেশের উন্নয়নে ব্যয় হবে, দেশের জন্য কাজ হবে। আর দেশের সকল মানুষের উন্নতি মানেই তো নিজের উন্নতি। সেই ধরনের নিষ্ঠাবান ব্যক্তিত্ব আমাদের দেশের জন্য যে কত প্রয়োজন, সেটা আমরা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করি।’

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের নেয়া পদক্ষেপে বিশ্বজোড়া প্রশংসার প্রসঙ্গে টেনে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এখন অনেক উন্নত দেশেও খাদ্যের অভাব। বাজারে জিনিসপত্র পাওয়া যায় না। সুপার মার্কেটগুলো খালি।’

সম্প্রতি নিজের লন্ডন সফরের কথা সামনে এনে বলেন, ‘সেখানে শুনতে হয়েছে সুপার মার্কেটে অনেক কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। জিনিস নেই, সাপ্লাই নেই। খাবারের জিনিস পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না।

‘সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ছোট্ট একটি ভূখণ্ড। আমাদের জনসংখ্যা অতিরিক্ত বেশি, তারপরও গ্রামে পর্যন্ত খাদ্যের হাহাকার নেই।’

পরিকল্পনামাফিক কাজ করা সম্ভব হয়েছে বলে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলার সামর্থ্য বাংলাদেশ অর্জন করেছে বলে মনে করেন শেখ হাসিনা।

২০০১ সালে সরকার গঠনের পর বিএনপি দেশে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আজকে ক্রসফায়ার নিয়ে তারা কথা বলে। ক্রসফায়ার শুরুই করল বিএনপি। র‌্যাব সৃষ্টি করে, ক্রসফায়ার করে করে মানুষকে হত্যা করা…।’

পচাত্তর পরবর্তী আওয়ামী লীগের কঠিন সময়ে একাব্বর হোসেন বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এই পার্লামেন্টে আমাদের মাননীয় ২০ জন সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি। আমি সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’

একাব্বরের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, ‘আর যেন আমাদের এই শোক প্রস্তাব নিতে না হয়, আল্লাহর কাছে শুধু সেটাই কামনা করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একাব্বরের মৃত্যুতে দেশের জন্য এবং আওয়ামী লীগের জন্য অনেক বড় একটা ক্ষতি আমাদের হয়ে গেল। একাব্বরের মতো সৎ, নিষ্ঠাবান একজন সৎ কর্মী আমরা হারালাম। আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করতাম যে, আমার পরে যারা এ দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেবে, কারা দিতে পারে?

‘দেবার মতো সেই রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সেই রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, রাজনৈতিক সততা, নিষ্ঠা, আদর্শের প্রতি নিবেদিত প্রাণ, তাদের মধ্যে একাব্বরও একজন ছিল। আমি সবসময় এটাই চিন্তা করতাম যে, সে করতে পারবে।’

একাব্বরের প্রয়াণকে দুর্ভাগ্য আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার মৃত্যু আমাদের দলের জন্য যেমন বিরাট ক্ষতি, ঠিক তেমনি দেশের জন্যও।’

তিনি বলেন, ‘যাদেরকে আসলে আমরা তৈরি করছিলাম ভবিষ্যতে দলকে যেমন নেতৃত্ব দেয়া, সেই সঙ্গে সঙ্গে দেশের উন্নয়নে যারা অবদান রাখবে, তেমনই একজন নেতাকেই আমরা হারালাম, সংসদ সদস্যকে হারালাম। সেটাই সবচেয়ে দুঃখজনক।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর একাব্বর হোসেনের স্মরণে এক মিনিটের নীরবতা পালন করেন সংসদ সদস্যরা। তার মৃত্যুতে আনা শোকপ্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে সংসদে গ্রহণ করা হয়।

একাব্বরের প্রতি সম্মান জানিয়ে এ দিন সংসদ মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এ বিভাগের আরো খবর