বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ইউপি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় এক ভ্যানচালক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সোমবার সকালে মোকলেস মিয়ার মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতের ছেলে উজ্জল মিয়া জানান, ১১ নভেম্বর বাগধা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বর পদে বিজয়ী হন আপেল প্রতীকের প্রার্থী শামীম মিয়া। এর দুদিন পর সকালে মেম্বার শামীম খাজুরিয়া থেকে ভ্যানে করে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করতে রওনা হন তিনি।
উজ্জল মিয়া বলেন, ‘পথে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ইউনুস মিয়ার নেতৃত্বে তার ৩০ থেকে ৩৫ জন সমর্থক লাঠিসোঁটা নিয়ে ভ্যানে থাকা লোকদের ওপর হামলা চালান। এ সময় বেধড়ক মারধর করা হয় তার বাবা ভ্যানচালক মোকলেস মিয়াকে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসক সৈকত জয়ধর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
‘আমার বাবা ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাত। তার উপার্জনই ছিল আমাদের পরিবারের ভরসা। দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাবা বিনা কারণে মারধরের শিকার হয়ে মারা গেলেন।’
এ ঘটনায় শনিবার ২৪ জনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন মন্ডল শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে খাজুরিয়া গ্রামের তানভীর ইসলাম রাসেল, এনামুল হাওলাদার ও রোববার রফিক মিয়াকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, মোকলেস মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩ জনকে।