নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট জেএসসি পরীক্ষা থাকবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বলেছেন, তখন ভিন্ন রকম হবে মূল্যায়ন পদ্ধতিও।
রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে রোববার সকালে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলে জেএসসি পরীক্ষা থাকার কথা নয়। তবে ভিন্ন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই মূল্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে। শিক্ষাক্রম চালুর পর মূল্যায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে।
‘জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা আগামী বছর হবে কি না সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে শিক্ষাক্রম পরিবর্তন হলে জেএসসি-জেডিসি থাকবে না।’
‘প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই’
চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বলেছেন, যারা প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবের সম্ভাবনা আছে। যারা গুজব ছড়াবে ও প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘একটি চক্র পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের গুজব রটানোর চেষ্টায় আছে। মাদক দমনের মতো এ গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
স্বাস্থ্যবিধি মানতে কেন্দ্রের বাইরে অযথা ভিড় না করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেক অভিভাবক যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। কেন্দ্রের বাইরে অযথা ভিড় করছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে নির্ধারিত সময়ের সাড়ে আট মাস পর রোববার থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। শুরুতেই বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থবিজ্ঞানের পরীক্ষায় বসেছে শিক্ষার্থীরা।
পরীক্ষা হচ্ছে দুই শিফটে। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, রোববার সকাল ১০টায় শুরু হয় পরীক্ষা। শেষ হবে সাড়ে ১১টায়। দ্বিতীয় শিফটে পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ২টায়, শেষ হবে বেলা সাড়ে ৩টায়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে এসএসসি, দাখিল, ভোকেশনাল পর্যায়ে ২২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছি। কোথাও কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।’