প্রথম দফায় জেলা পর্যায়ে করোনার টিকা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভোলায় ১২ থেকে অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী ৮৫ হাজার শিক্ষার্থী পাচ্ছে ফাইজারের টিকা। প্রথম পর্যায়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে টিকাদানে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে টিকা দেয়ার কার্যক্রম শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়। শহরের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছাত্রী ও জেলা শিক্ষা প্রকৌশল কার্যালয়ে ছাত্রদের দেয়া হয় ফাইজার টিকা।
ভোলার ২টি কেন্দ্রে ৮টি বুথে প্রথম দিন এক হাজার শিক্ষার্থীকে এই টিকা দেয়া হচ্ছে।
ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. রুমেল ও হাসনাইন টিকা নিতে এসে জানায়, দীর্ঘ অপেক্ষার পর টিকা দিতে পেরে তারা খুবই খুশি। এখন আর তাদের মধ্যে করোনার আতঙ্ক থাকবে না।
ভোলা জেলা পরিষদ চত্বরে ভোলা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের এইচএসসির শিক্ষার্থী এলমার প্রতিক্রিয়াও একই।
এলমা বলে, ‘করোনাভাইরাসের টিকা নিতে পেরে কিছুটা শঙ্কামুক্ত থাকতে পারব। ক্লাস শেষে সবার সঙ্গে আগের মতো আড্ডা ও খেলাধুলা করতে পারব, তাই আমরা অনেক আনন্দিত।’
ভোলার সিভিল সার্জন কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘এটি প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রথম পর্যায়ে এইচএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে, পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষার্থী পাবে এই টিকা।’
টিকা দেয়ার এ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক-ইলাহী চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ অনেকে।
টিকা প্রদানের এ কার্যক্রমে পরে প্রয়োজন অনুযায়ী কেন্দ্রের সংখ্য বাড়ানোর কথা জানায় ভোলা স্বাস্থ্য বিভাগ।