দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে পুলিশ সদস্যের পা ধরে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর কান্নার ঘটনা আলোচনায় এসেছিল।
স্বতন্ত্র সেই প্রার্থী জয়ী হয়েছেন উপজেলার গোপীনাথপুর ইউপি নির্বাচনে।
বেসরকারিভাবে বৃহস্পতিবার রাত গোপীনাথপুর ইউপি নির্বাচনের ফল জানানো হয়। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান পান ৮ হাজার ৭৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী আবু সাইদ জোয়ারদার পান ৭ হাজার ৭২ ভোট।
দ্বিতীয় ধাপে আক্কেলপুরের সাত ইউনিয়নের নির্বাচনে হাবিবুরই একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অন্য ছয়টি ইউনিয়নে নির্বাচিত হন নৌকার প্রার্থীরা।
হাবিবুর নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে লড়ছিলেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ করেই গোপীনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি কক্ষে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল বাঁধে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন তিনি।
পুলিশ জানায়, হাবিবুর অভিযোগ করেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী আবু সাইদ জোয়ারদারের ছেলে সজীব ও সাবেক ইউপি সদস্যের ছেলে রয়েল গোপীনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৭ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে জোর করে ব্যালটে নৌকায় সিল মারেন। এ দৃশ্য দেখে প্রতিবাদ করেন হাবিবুর, তার এজেন্ট ও কর্মী-সমর্থকরা।
ওই সময় প্রতিপক্ষের হাতে লাঞ্ছিত হন হাবিবুর। পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উত্তপ্ত হতে থাকলে সজীব ও রয়েল সটকে পড়েন।
পুলিশ আরও জানায়, র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তৌকির ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় তরিকুলের পায়ে হাত দেয়ার ভঙ্গিতে মাটিতে বসে ভোট কারচুপির অভিযোগ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন হাবিবুর।
এএসপি তরিকুল নিরপেক্ষ ভোটের নিশ্চয়তা দিয়ে হাবিবুরকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। এ ঘটনার পর থেকে ওই কেন্দ্রে অবস্থান নেয় র্যাব ও পুলিশ।
গোপীনাথপুরের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাবিবুর বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে গোপীনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘটা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আমি পুলিশের কাছে কান্নাকাটি করি। প্রশাসনের কঠোর ও নিরপেক্ষ ভূমিকায় আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমি নির্বাচিত হয়েছি।’