চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বন্য হাতি হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছে বন বিভাগ।
পিওআর (প্রসিকিউশন অফেন্স রিপোর্ট) মামলাটি মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন আদালতে করা হয়।
যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন, নেছার উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন ও আমান উল্লাহ। তারা সবাই সাতকানিয়ার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কার্যালয়ের (দক্ষিণ) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম মঙ্গবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এসব নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘হাতিটি শনিবার মারা যায়। সেদিন হাতির মৃত্যুর বিষয়টি আমরা আদালতকে অবগত করি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের প্রমাণ মেলায় মঙ্গলবার এই মামলা করা হয়েছে।’
উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের হযরত আজগর আলী শাহ মাজারের পশ্চিম পাশে মইত্তাতলী বিলের ধানক্ষেতে শনিবার ভোরে মৃত হাতিটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।
পরে জানা যায় হাতির উপদ্রব থেকে বাঁচতে ধানক্ষেতের চারিদিক বিদ্যুতায়ন করে রাখেন কৃষকরা। খাবারের খোঁজে লোকালয়ে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাতিটি মারা যায়।
এ ঘটনায় বন বিভাগের সাতকানিয়া মার্দাশা রেঞ্জের গার্ড সাং চিয়াওয়া আলমাহি কৃষক নেছার উদ্দিন, জমির মালিক সেলিম উদ্দিন ও ক্ষেতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে সহায়তাকারী আমান উল্লাহকে আসামি করে মামলা করেন।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী, হাতি তফশিল-১ ভুক্ত প্রজাতির অন্তর্গত। যদি কেউ হাতি হত্যা করেছে বলে প্রমাণিত হয়, তবে তাকে ২ থেকে ৭ বছরের জন্য অথবা ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা যেতে পারে। যদি এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হয়- তবে কারাদণ্ডের মেয়াদ ১৫ বছর হবে অথবা ১৫ টাকা লাখ জরিমানা করা হবে।