বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাত কেটে ফেলতে হলো শিশুটির

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২১ ২১:৩৯

চরভদ্রাসন উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের অবগত না করে অপরিকল্পিতভাবে ওই ভবনমালিক বিদ্যুতের ফোরফরটি লাইন ঘেঁষে ভবনটি নির্মাণ করছেন। এতে একটি শিশুর জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা রয়েছে।’

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের খেসারত দিতে হলো এক শিশুকে। অবশেষে ১১ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলীর বাম হাতের অর্ধেক এবং দুই পায়ের তিনটি আঙুল কেটে ফেলতে হয়েছে।

মোহাম্মদ আলী উপজেলা সদরের বিএস ডাঙ্গী গ্রামের মোশারফ হোসেন মাস্টারের ছেলে। সে উপজেলার হাজীডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

শিশুটির বাবা মোশারফ হোসেন জানান, ৩০ অক্টোবর বিকেলে বিএস ডাঙ্গী গ্রামের প্রতিবেশী আবদুল কুদ্দুস মোল্যার নির্মাণাধীন ভবন ঘেঁষে বৈদ্যুতের অরক্ষিত মেইন লাইনের তারে জড়িয়ে গুরুতর আহত হয় মোহাম্মদ আলী। ওই দিনই তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

সেখানে ৯ দিন পর সোমবার শিশুটির বাম হাতের অর্ধাংশ এবং বাম পায়ের দুটি ও ডান পায়ের একটি আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে।

মোশারফ হোসেন জানান, নির্মাণাধীন ভবনের মালিক এলাকার প্রভাবশালী। কোনো অনুমোদন ছাড়াই তারা বৈদ্যুতিক খুঁটির মেইন লাইন ঘেঁষে ভবন নির্মাণ করছেন। এমনকি ভবনে ঢোকার সিঁড়িপথ না আটকিয়ে তারা নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘সিঁড়ি খোলা পেয়ে আমার ছেলে তার বন্ধুদের নিয়ে নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলায় ওঠে। খেলার সময় বিদ্যুৎ লাইনের মেইন তারে জড়িয়ে সে গুরুতর আহত হয়।’

স্থানীয় আকবর হোসেন বলেন, ‘কোনো অনুমতি ছাড়াই বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন কুদ্দুস মোল্যা। ভবন ঘেঁষে বিদ্যুতের লাইন রয়েছে। তিনি একটু দূরত্বে ভবন নির্মাণ করলে এ ঘটনা ঘটত না। তা ছাড়া তিনি বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেননি।’

ভবনমালিক কুদ্দুস মোল্যা বলেন, ‘আমি উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের জিসান আহম্মেদের কাছ থেকে ভবন নির্মাণের অনুমোদন এনেছি এবং উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে দরখাস্ত করেছি।’

চরভদ্রাসন উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বাঁধন বলেন, ‘ভবন নির্মাণের জন্য আমাদের কাছে কেউ কোনো লিখিত আবেদন করে নাই বা আমরা কাউকে অনুমোদন দিই নাই।

‘জিসান আহম্মেদ নামে কোনো লোক আমার দপ্তরে নাই। উপজেলা ভবন নির্মাণ কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সেক্রেটারি হলেন উপপ্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ। ভবন নির্মাণ কমিটির কাছে কেউ আবেদন করে নাই।’

চরভদ্রাসন উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের অবগত না করে ওই ভবনমালিক অপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুতের ফোরফরটি লাইন ঘেঁষে ভবনটি নির্মাণ করছেন। এতে একটি শিশুর জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা রয়েছে।’ এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন শিশুটির বাবা মোশারফ হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর