নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা এবং হাইকোর্টের আদেশে জমা দেয়া জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় চাঁদপুরের সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরে আলমকে তলব করেছে হাইকোর্ট।
বর্তমানে বাগেরহাটের নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে কর্মরত নূরে আলমকে আগামী ২২ নভেম্বর হাইকোর্টে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রিমি নাহরিন।
পরে আইনজীবী রিমি নাহরিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চাঁদপুরের মতলব থানায় এক হত্যা মামলায় ১৬ বছর বয়সী আসামিকে নির্যাতনের কথা জেনেও পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার ঘটনায় বিচারকের ব্যাখ্যা চেয়েছিল হাইকোর্ট। পরে তার দেয়া ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় আদালত আজকে তাকে তলব করেছে।’
মামলা থেকে জানা যায়, দামি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের শিক্ষার্থী সোহেল রানা ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট খুন হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় ফরহাদ, মেহেদী ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে প্রত্যেকেই হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এ মামলায় মূল আসামি ফরহাদ হাইকোর্টে জামিন নিতে আসে। জামিন শুনানিতে দেখা যায়, ফরহাদের বয়স ১৬ বছর। কিন্তু অভিযোগপত্রে দেয়া হয়েছে ১৯ বছর। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। তখন আদালত পুলিশি নির্যাতনের পরও জবানবন্দি রেকর্ড করায় ওই বিচারককে শোকজ করে ব্যাখ্যা দাখিল করতে নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে আসামিকে জামিন দেয়। ওই জামিনের মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করা হলে আজ মামলাটি শুনানির জন্য আসে। তখন বিচারকের ব্যাখ্যা সন্তুষ্ট না হওয়ায় হাইকোর্ট বিচারককে তলব করে আদেশ দেয়।