চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে সংখ্যায় খুব কম হলেও বাস চলছে। বাস কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। শুক্রবার রাত থেকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়াও।
নগরীর ২ নম্বর গেইট এলাকায় কায়ুম নামের এক যাত্রী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকে গাড়ি নেই, মাঝে মাঝে দুয়েকটা আসে। ১০ টাকার ভাড়াও নিচ্ছে দ্বিগুণ। আমি মুরাদপুর থেকে বাড়তি ভাড়া দিয়েই এখানে এসেছি।’
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার রাত ১২টা থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে বেড়ে গেছে ১৫ টাকা। এতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরির মালিকরা শুক্রবার ভোর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেয়। এরপর পরিবহন মালিক সমিতিও শুক্রবার থেকে বাস চালানো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
টাইগারপস এলাকায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘শুধু আমি কেন, দেখেন কত মানুষ দাড়িয়ে আছে। ধর্মঘট ডেকেছে ভালো কথা, ধর্মঘটে তো অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা উচিত। এই যে গাড়ি চলতেছে না, রিকশা, পাঠাও, উবার সবাই গলা কাটছে- আমরা কই যাব?’
ভাড়তি ভাড়া আদায় সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলালের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে বাড়তি ভাড়া আদায় সম্পর্কে রিদোয়ান নামের এক চালক বলেন, ‘শুধু আমরা না, সবাই বেশি ভাড়া নিচ্ছে। আপনারা জানেন তেলের দাম বাড়ছে। কিন্তু গ্যাসপাম্পগুলো এখন গ্যাসের দামও বেশি নিচ্ছে। আর কেউ বের হচ্ছে না এখন, আমরা রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। তাই ভাড়া একটু বেশি।’