রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হলে সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে ছাত্রীরা। তারা ডাইনিংয়ের খাবারের মান উন্নয়নেরও দাবি জানাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়ায় তাপসী রাবেয়া হলের সামনে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রীরা।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লিয়াকত আলী।
তিনি বলেন, ‘ঘটনা শোনার পর প্রশাসনের সবাই আমরা এসেছি। ছাত্রীদের দাবিগুলো আমরা শুনব। দেখা যাক কী করা যায় এ বিষয়ে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে মেয়েদেরকে হলে ফিরতে হবে। কিন্তু ছাত্রীরা বলছেন, ক্লাসের পরেও অ্যাসাইনমেন্ট, ব্যক্তিগত নানা কাজ থাকে। পাশাপাশি আড্ডা, বিনোদন, সাংস্কৃতিক চর্চাও জরুরি। এসব কাজ সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শেষ করা সম্ভব না। এরপর হলে ফিরলে কর্তৃপক্ষ বাজে আচরণ করে। কখনও কখনও ঢুকতে দেয় না।
আর এই বিধিনিষেধ কেবল মেয়েদের হলে, ছেলেদের হলে যেকোনো সময় ঢোকা যায়।
তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শিউলী বলেন, ‘হল কর্তৃপক্ষ সান্ধ্যকালীন আইন করেছে। সেখানে আমাদের সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে হলে ঢোকা বাধ্যতামূলক করেছে। আমাদের টিউশনি করাতে হয়, আরও বিভিন্ন প্রয়োজনে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে হলে প্রবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না।
‘এর মধ্যে হলে প্রবেশ করতে না পারলে আমাদের হলের বাইরে থাকতে বলে। এ কারণে এই আইন বাতিল করতে আমরা আন্দোলন করছি।’
সুমাইয়া রহমান বলেন, ‘হলের গণরুমে যেসব ছাত্রী থাকে তাদের হল ডাইনিংয়ে খাওয়া বাধ্যতামূলক করেছে হল কর্তৃপক্ষ। হলের খাবার খারাপ, বাসি। যা খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আর হলে ডাইনিংয়ে যারা কাজ করে তারা আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, ‘জেগেছে রাবি ছাত্রীরা! রাবির ছাত্রী হলে সান্ধ্য আইন বাতিল, প্রাধ্যক্ষের দুর্ব্যবহার বন্ধ, ডাইনিংয়ের খাবারের মান উন্নয়ন, রুমে রুমে রান্নার সুযোগ দেয়াসহ কয়েক দফা দাবিতে ছাত্রীরা তাপসী রাবেয়া হলের গেট অবরোধ করেছে। দাবি মানা না পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।’