বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধর্মঘটেও ভিড় জাফলংয়ে

  •    
  • ৫ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পর্যটকদের নিয়ে জাফলং যাওয়া বাসচালক রমিজ মিয়া বলেন, ‘ধর্মঘটের ঘোষণার আগেই এখানে আসার কন্টাক্ট হয়েছিল। তাই যাত্রী নিয়ে আসতে হয়েছে।’

বাস ও ট্রাক ধর্মঘটের কারণে প্রায় অচল সিলেট। রাস্তাঘাটও প্রায় ফাঁকা। তবে উল্টো চিত্র সিলেটের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে। ধর্মঘটের দিনেও সেখানে পর্যটকদের ঢল।

শুক্রবার দুপুরে জাফলংয়ে দেখা গেছে, সোনাটিলা বিজিবি ক্যাম্প থেকে জাফলং জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত হাজারও পর্যটক মেতে আছেন ছুটির আমেজে। সারা দেশে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাফলং এসেছে পর্যটকবাহী বাস।

গোয়াইনয়াট উপজেলার সীমান্তবর্তী জাফলং বালি ও পাথুরে নদী, স্বচ্ছ জল, পাহাড় ও ঝরনা, খাসিয়া পুঞ্জির জন্য পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয়। প্রকৃতি কন্যা হিসেবে এই স্পট পরিচিত। সারা বছরই এখানে পর্যটকদের ভিড় থাকে।

নরসিংদী থেকে বন্ধুদের নিয়ে জাফলং বেড়াতে এসেছেন কলেজ ছাত্র মাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে জাফলংয়ের গল্প শুনেছি। আজ প্রথম এখানে এলাম। এখানকার সৌন্দর্যে আমরা মুগ্ধ।’

মাধবপুর থেকে পরিবার নিয়ে আসা সায়েক আহমদ বলেন, ‘আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম আজ জাফলং আসবো, কিন্তু ধর্মঘটের কারণে চিন্তায় পড়েছিলাম আসতে পারবো কি না। পরে বাড়তি ভাড়া দিয়ে প্রাইভেটকার নিয়ে এসেছি।’

পর্যটকদের ঢলে খুশি নানা পণ্যে পসরা নিয়ে বসা দোকানিরা।

জাফলং জিরো পয়েন্টের প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রেতা সমুজ মিয়া জানান, ছুটির দিনে জাফলংয়ে সবসময়ই পর্যটকদের ভিড় হয়। তবে আজ ধর্মঘটের কারণে তিনি ভেবেছিলেন তেমন পর্যটক আসবে না। তবে সকাল থেকে পর্যটক সমাগম বাড়তে দেখে তিনি খুশি; বেচাকেনা ভালো হচ্ছে।

সিলেটে শীত পড়তে শুরু করেছে। রাতে কুয়াশাও পড়ছে। তবে শুক্রবার সকাল থেকেই প্রচণ্ড রোদ; দুপুর নাগাদ তীব্র গরম।

এমন তাপদাহে পর্যটকদের তৃষ্ণা মেটাতে লেবুর শরবত বিক্রি করছেন রাহাত আহমদ। তিনি জানান, ধর্মঘটের মধ্যেও প্রচুর পর্যটক এসেছেন; দুপুর পর্যন্ত দেড় হাজার টাকার মতো শরবত বিক্রি করেছেন।

জাফলংয়ে টাকা নিয়ে পর্যটকদের ছবি তুলে দেন আব্দুল কাইয়ুম। শুক্রবার তিনিও বেশ ব্যস্ত।

কাইয়ুম বলেন, ‘সব ছুটির দিনেই এখানে প্রচুর পর্যটক আসেন। আজ ধর্মঘটের কারণে ভেবেছিলাম তেমন পর্যটক আসবেন না। তবে সকাল থেকে অনেক লোক এসেছেন।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পর্যটকদের নিয়ে জাফলং এসেছেন বাসচালক রমিজ মিয়া।

ধর্মঘটের মধ্যেও বাস নিয়ে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ধর্মঘটের ঘোষণার আগেই এখানে আসার কন্টাক্ট হয়েছিল। তাই যাত্রী নিয়ে আসতে হয়েছে।’

মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও অটোরিকশায় করেও এসেছেন অনেকে। তবে ধর্মঘটের সুযোগে ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

বেড়াতে আসা আশিকুর রহমান বলেন, ‘অন্য সময়ে জনপ্রতি দেড়শ টাকা ভাড়ায় অটোরিকশায় জাফলং আসা যায়। আজ তিনশ টাকা ভাড়ায় এসেছি। ফেরার সময় আরও বেশি ভাড়া দাবি করছেন চালকরা।’

এ বিভাগের আরো খবর