জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ঘটনায় ভাড়া সমন্বয়ের দাবিতে সারা দেশে বাস ধর্মঘট ডেকেছে পরিবহন মালিক সমিতি। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানের যাত্রীদের ওপর।
রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের সড়কগুলোতে শুক্রবার ভোর থেকেই ছিল ফাঁকা, তবে মাঝেমধ্যে ঢাকার বাইরের দু-একটি বাস চলতে দেখা গেছে। সেসব বাসে প্রায় ১০ গুণ বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
তারা জানিয়েছেন, ভাড়া নিয়ে বাসের স্টাফদের সঙ্গে হচ্ছে কথা-কাটাকাটি।
সকাল ৮টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল ত্রিমোড় এলাকায় প্রায় ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর একটি বাসের দেখা পান শাহাদাত হোসেন।
সাভারের উদ্দেশে বাসে উঠতে যেতেই ভাড়া ১০০ টাকা চাওয়া হয়। এ সময় বেশি ভাড়া আদায় করায় স্টাফের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
বাগবিতণ্ডা শেষে নিউজবাংলাকে তিনি জানান, গাবতলী পর্যন্ত বাসের ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা রাখা হচ্ছে। সাভারের কোনো যাত্রী উঠানো হচ্ছে না। যেতে চাইলে গাবতলীর ভাড়াতেই যেতে হবে। অনেকেই বাইপাইল থেকে সাভারের ১০ কিলোমিটারের পথ ১০০ টাকা দিয়েই যাচ্ছেন।
শাহাদত হোসেন বলেন, ‘আমি সাভার যামু। তাই বাইপাইল আইছিলাম সকালে। অনেকক্ষণ খাড়ায় থাকার পরে একটা বাসে উঠবার গিয়া শুনি ভাড়া ১০০। ঢাকা কইয়া ডাইকা কন্টাক্টর যাত্রী উঠাইতেছিল।
‘কিন্তু সাভারের কোনো যাত্রী নিব না। আবার সাভারের ভাড়া ১০০ টাকা ভাড়া দিলেই ওরা নিতাছে। অথচ বাইপাইল থাইকা সাভারের ভাড়া ১০ থেকে ১৫ ট্যাকা। পরে কন্টাক্টরের সঙ্গে ভাড়া নিয়া ঝগড়া লাগছে।’
নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য মানিকগঞ্জের যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
আসাদুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘মানিকগঞ্জ যাওয়া আমার জরুরি দরকার। ভোর থেকে নবীনগরে দাঁড়ায় আছি। গাড়ি নাই বললেই চলে। মাঝে মাঝে গাড়ি আসলেও ভাড়া অনেক বেশি।’