নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে আর আওয়ামী লীগ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে মেনে নিতে হবে। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই সবাইকে সমর্থন দিতে হবে। বিদ্রোহী হয়ে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেয়া হবে না। নির্বাচনে বিদ্রোহী হলে আর যা-ই হোক, তিনি আওয়ামী লীগ করতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সেটা তাদের বিষয়। বিএনপি কেন নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না, সেটা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আমরা আওয়ামী লীগ করি। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি দল।‘নির্বাচনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। আমরা জানি, ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র উপায় দেশের সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার। মানুষের সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় টিকে থাকতে হয়।’
কাজী জাফর উল্লাহ আরও বলেন, ‘তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে সব অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে হবে। ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আমিরুল আলম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা ও গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।
প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার।
ছয় বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হয়।