চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে হবে। সব বিষয়ে পরীক্ষা না হওয়ায় ব্যয় কমেছে। তাই পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে আদায় করা টাকার অব্যয়িত অংশ ফেরত দেয়া হবে।
পরীক্ষার্থীরা কত টাকা ফেরত পাবে, সে হিসাবের বিস্তারিত জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলামের সই করা বৃহস্পতিবারের অফিস আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়।
ফেরতের টাকা পাঠানো হবে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে।
পরীক্ষা ফি
পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্রে উল্লেখিত যেসব বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেবে, সেসব বিষয় ছাড়া অন্য বিষয়ের জন্য আদায়কৃত ফি থেকে বিষয়প্রতি (তত্ত্বীয়) ৩০ টাকা করে ফেরত পাবে।
ব্যাবহারিক বিষয়ের জন্য আদায় করা বোর্ড ফি থেকে বিষয়প্রতি ২০ টাকা ফেরত পাবে পরীক্ষার্থী। আর আইসিটি বিষয়ের ব্যাবহারিক পরীক্ষার জন্য বোর্ড ফির ৩০ টাকা ও চতুর্থ বিষয়ের ব্যাবহারিক পরীক্ষার জন্য বোর্ড ফির ৩০ টাকা ফেরত দেয়া হবে।
কেন্দ্র ফি
যেসব পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছে এবং ন্যূনতম এক বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নেবে, তাদের কেন্দ্র ফি থেকে ১০০ টাকা ফেরত দেয়া হবে। এ ছাড়াও আইসিটি বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় করা ২৫ টাকা এবং চতুর্থ বিষয়ের ব্যাবহারিক পরীক্ষা ফি বাবদ আদায় করা ১০ টাকা ফেরত দেয়া হবে।
এ ছাড়াও ফরম পূরণের পর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে না যেসব পরীক্ষার্থীর, তাদের কেন্দ্র ফি বাবদ আদায় করা ৪০০ টাকা ফেরত দেয়া হবে। এসব শিক্ষার্থীকে আইসিটি বিষয়ের অতিরিক্ত আরও ২৫ টাকা এবং চতুর্থ বিষয়ের ব্যাবহারিক পরীক্ষা ফি বাবদ প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় করা ১০ টাকা ফেরত দেয়া হবে।
অন্য এক আদেশে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের অব্যয়িত টাকা ফেরত এবং বোর্ডের সঙ্গে সব ধরনের আর্থিক লেনদেনে সোনালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে স্কুলগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
এতে বলা হয়, স্কুলের ইংরেজি নাম ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে, তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের হুবহু ইংরেজি নাম ব্যবহার করে সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলা আছে, তাদের অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই।
আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে বোর্ডের ওয়েবসাইটে নির্ধারিত প্যানেলের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে স্কুলগুলোকে।
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে ১৪ নভেম্বর; চলবে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এ পরীক্ষা হবে শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ে।
অন্যান্য আবশ্যিক বিষয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে মূল্যায়নের মাধ্যমে নম্বর দেয়া হবে।
এ ছাড়া চতুর্থ বিষয়েরও পরীক্ষা নেয়া হবে না। নির্ধারিত দিনে সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট এবং ২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা হবে।