বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাষ্ট্রপতি শিল্পোন্নয়ন পুরস্কার পাচ্ছে ১৯ প্রতিষ্ঠান

  •    
  • ৩ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:৩৩

বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম পুরস্কার পাচ্ছে বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিডেট এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। এই ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় হয়েছে মীর সিরামিক লিমিডেট এবং তৃতীয় হয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড।

শিল্প খাতে অসামান্য অবদান রাখায় ১৯ প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৯। এর মধ্যে বৃহৎ শিল্প ও মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে রয়েছে চারটি করে প্রতিষ্ঠান। তিনটি করে প্রতিষ্ঠান রয়েছে ক্ষুদ্র শিল্প, মাইক্রো শিল্প ও হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে। আর দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আগামী ৪ নভেম্বর নির্বাচিত শিল্প উদ্যোক্তাদের মাঝে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান করা হবে। পুরস্কার প্রাপ্ত প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে একটি করে ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বুধবার এ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বেসরকারি খাতকে প্রণোদনা এবং সৃজনশীলতাকে উৎসাহ প্রদানের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার প্রবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

এ লক্ষ্যে ২০১৩ সালে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার প্রদান সংক্রান্ত নির্দেশনাবলী ২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়।

এর ভিত্তিতে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মত শ্রেষ্ঠ ১২টি শিল্প উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার দেয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার পঞ্চমবারের মত রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৯ প্রদান করা হবে।

শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ছয় ক্যাটাগরির শিল্পের জন্য তিনটি করে মোট ১৮টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বা উদ্যোক্তাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

তবে দুটি ক্যাটাগরির দুটি পজিশনে যৌথভাবে দুটি করে প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়ায় এবং একটি ক্যাটাগরিতে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়ায় ২০১৯ সালের জন্য মোট ১৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারটি দেয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম পুরস্কার পাচ্ছে বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিডেট এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। এই ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় হয়েছে মীর সিরামিক লিমিডেট এবং তৃতীয় হয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড।

মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পাচ্ছে বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস, দ্বিতীয় হয়েছে নোমান টেরি টাওয়েল মিলস্ এবং তৃতীয় হয়েছে যৌথভাবে অকো-টেক্স লিমিটেড ও ক্রীমসন রোসেলা সি ফুড।

ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ১ম হয়েছে প্রমি এগ্রো ফুডস, দ্বিতীয় হয়েছে মাধবদী ডাইং ফিনিশিং মিলস এবং তৃতীয় হয়েছে এপিএস হোল্ডিং।

মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে মাসকো ডেইরি এন্টারপ্রাইজ, দ্বিতীয় হয়েছে খান বেকেলাইট প্রোডাক্টস এবং তৃতীয় হয়েছে র‌্যাভেন এগ্রো কেমিক্যালস।

কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে কোর-দি জুট ওয়ার্কস এবং দ্বিতীয় হয়েছে সামসুন্নাহার টেক্সটাইল মিলস।

হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, দ্বিতীয় হয়েছে ইনফরমেশন টেকনোলজি কনসালটেন্টস এবং তৃতীয় হয়েছে সামিট কমিউনিকেশনস।

সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৯ প্রদানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এটি আয়োজন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানের ভেন্যু দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হচ্ছে। পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনে রোড সাইড এলইডি বিজ্ঞাপন প্রচার চলছে।

তিনি জানান, জাতীয় পত্রিকায় ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানের তথ্য সম্বলিত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক দ্বীপসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোকে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, ডিজিটাল ডিসপ্লেসহ বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও জানান, পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী সম্বলিত একটি মনোজ্ঞ স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। এতে পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রোফাইল সন্নিবেশিত থাকবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের শিল্পায়ন অভিযাত্রা এক সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময় তিনি পূর্ব পাকিস্তানে শিল্পায়নের ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে ‘পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র শিল্প করপোরেশন (ইপসিক)’ প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতার পর থেকে এটি বিসিক নামে সারা দেশে তৃণমূল পর্যায়ে শিল্পায়ন প্রক্রিয়া জোরদারে কাজ করে যাচ্ছে। বিসিকের প্রচেষ্টায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক হারে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেছে।

নূরুল মজিদ জানান, দেশে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার ক্ষুদ্র শিল্প এবং প্রায় সাড়ে ৮ লাখ কুটির শিল্প রয়েছে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি দেশে ইতোমধ্যে প্রায় ১০ লাখ এসএমই প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে। এসব এসএমই শিল্প প্রতিষ্ঠান/উদ্যোক্তা জিডিপিতে শতকরা ২৩ ভাগ এবং মোট শিল্প কর্মসংস্থানে শতকরা ৮০ ভাগ অবদান রাখছে।

এ বিভাগের আরো খবর