বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২৪ ঘণ্টায়েও কমেনি শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের জট

  •    
  • ৩ নভেম্বর, ২০২১ ১৪:৩৩

শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনা শোনার পর থেকেই মেরামতের কাজ শুরু করি। এরইমধ্যে বেইলির পাটাতন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন দুই পাশের অ্যাপ্রোচের কাজ চলছে। আশা করি বিকেল নাগাদ যান চলাচল শুরু হবে।’

শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার মধ্যপাড়া এলাকায় উভয় পাশে দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানবাহনের জট। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মেরামত শেষ হয়নি কালভার্টটির।

তবে বেইলি সেতুর পাটাতন দিয়ে মেরামতের কাজ করছে শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

একটি পণ্যবাহী ট্রাক কালভার্টটি পারাপারের সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কালভার্টের উপরিভাগ দেবে যায়। এরপর থেকেই কালভার্টের উভয় পাশে দীর্ঘ হতে থাকে যানবাহনের সারি।

এ রুটে চট্টগ্রামের সঙ্গে খুলনা ও বরিশালের সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাই ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।

ভোমরা থেকে পণ্য নিয়ে মঙ্গলবার থেকে অপেক্ষা করছেন ইউসুফ আলী।

ক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখান দিয়ে আসি শুধু সময় ও পথ কমাতে কিন্তু প্রায়ই এভাবে নানা কারণে পথে বসে থাকতে হয়। গতকাল ভেঙেছে, একদিন পার হয়ে গেলেও কাজ শেষ হয়নি। কখন শেষ হবে তাও জানা নেই। না পারি সামনে যেতে না পারি পেছনে যেতে। মাল নিয়ে পড়েছি বিপদে। আল্লাহ জানে নাকি ড্যামারেজ দিতে হয়।’

স্থানীয় বাসিন্দা আকবর হোসেন বলেন, ‘যারা আটকা পড়ছে হেগো অবস্থা খারাপ। রাস্তার মদ্দেই খাওন-দাওন-ঘুমান সব করতে অইতাছে। হেগো কষ্ট দেখলে আমাগো খারাপ লাগে। বাসে যারা আইছিল হেরা নাইমা অন্যভাবে গেছে, গিয়া অহন হুদা মালবোঝাই গাড়িগুলো আছে। লাইন খালি বাড়তেই আছে।’

এ বিষয়ে শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর শোনার পর থেকেই মেরামতের কাজ শুরু করি। এরই মধ্যে বেইলির পাটাতন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন দুই পাশের অ্যাপ্রোচের কাজ চলছে। আশা করি বিকেল নাগাদ যান চলাচল শুরু হবে।’

নিউজবাংলাকে তিনি আরও বলেন, ‘শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কটি সম্প্রসারণের কাজ চলমান। সেই প্রকল্পেই কালভার্টগুলো নির্মাণের কাজ চলছে। নতুন করে আর কোনো কাজ করার সুযোগ নেই। তাই ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।

‘তবে সেক্ষেত্রে অধিক ওজনের যানবাহন নিয়ে চলাচল না করার জন্য সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। এই সময়টুকু সবাইকে সর্তকতার সাথেই চলতে হবে।’

বুধবারের পরিস্থিতি নিয়ে নিউজবাংলাকে স্থানীয়রা জানায়, যাত্রীরা নিজেদের সুবিধা মতো চলে গেলেও পণ্যবাহী যানবাহন এখনও আটকে আছে সে সড়কে।

এ বিভাগের আরো খবর