ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ৫ জনকে অব্যাহতি দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর আদালত পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।
তবে মামলায় অভিযুক্ত একমাত্র আসামি বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র নিয়েছে আদালত। আগামী ৩০ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির তারিখ দেয় আদালত।
তার আগে একই আদালতে মঙ্গলবার আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান হাসান আল মামুন। আদালত জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
বুধবারও তাকে হাজির করে জামিন চাওয়া হলে তা নাকচ করে দেয় আদালত।
অব্যাহতি পাওয়া অন্য চার আসামি হলেন- বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, সভাপতি নাজমুল হুদা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আকবর অব্যাহতি দেয়ার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
আসামিপক্ষে আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ মামলায় মঙ্গলবার একই আদালতে আত্মসমপর্ণ করে জামিন আবেদন করেন হাসান আল মামুন। আদালত জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।’
তবে আজ এই মামলার তারিখ ছিল।
গত ১৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আসলাম উদ্দিন মোল্লা নুরসহ ৫ জনকে অব্যাহতির আবেদন করে এবং হাসান আল মামুনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী রাজধানীর লালবাগ থানায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
এজাহারে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে নুরের নাম উল্লেখ করা হয়।
একই অভিযোগে পরদিন কোতোয়ালি থানায় ওই ৬ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলাটি করেন ওই শিক্ষার্থী।