বঙ্গবন্ধুর পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়। সেই চারা এখন বড় হয়ে ডালপালা বিস্তার করে শিকড় মাটির অনেক গভীরে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
উগ্রপন্থি সে সাম্প্রদায়িকতাকে রোখা এখন মূল চ্যালেঞ্জ। যার মূল উৎপাটনে গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক ও অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার সকালে বনানীতে জাতীয় তিন নেতার কবরে শ্রদ্ধা জানিয়ে এমন মন্তব্য করেন কাদের।
১৯৭৫ সালের এ দিনে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী এম মুনসুর আলী, খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর, তার আজীবন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী চার নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শূন্য করা বলে জানান কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর মানব সভ্যতার ইতিহাসে আর একটি বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে নেতৃত্বশূন্য করতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল।’
এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ অন্যরা।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতা, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
তার আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের নেতারা।