নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রতারণা ও ধর্ষণ মামলায় শাহিন আলী বাবু নামের এক পল্লি চিকিৎসককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সৈয়দপুর বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক সোমবার বিকেলে এ আদেশ দেন।
এর আগে উপজেলা শহরের ঘোড়াঘাট রেলওয়ে কলোনি মসজিদ এলাকা থেকে দুপুরে শাহিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শাহিন আলী বাবু রেলওয়ে কলোনি এলাকার বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে বলা হয়, মামলার বাদী স্বামীসহ সৈয়দপুর শহরে থাকতেন। চিকিৎসা সূত্রে তার পরিচয় হয় শাহিনের সঙ্গে। এক সময় দুজনের মধ্যে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
শাহীনের দেয়া বিয়ের আশ্বাসে সাত বছর আগে স্বামীকে তালাক দেন ওই নারী। এরপর শাহীন তাকে ঢাকায় একটি ভাড়া বাসায় রাখেন। মাঝে মাঝ ঢাকায় গিয়ে ওই নারীর সঙ্গে থাকতেন শাহীন। তবে বিয়ের কথা বললে ওই নারীকে আরও অপেক্ষা করতে বলে সময়ক্ষেপন করে আসছিলেন ওই পল্লি চিকিৎসক।
গত বৃহস্পতিবার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় শাহিনের। শনিবার ওই নারী শাহীনের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় প্রতারণা ও বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন।
সোমবার দুপুরে সৈয়দপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক মাহমুদ আসামিকে তার চেম্বার থেকে গ্রেপ্তার করেন।
এ সময় শাহীন বলেন, ‘মহিলা আমার রোগী। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ও দরিদ্র হওয়ায় প্রায়ই চিকিৎসার পাশাপাশি তাকে আর্থিক সহযোগিতা করতাম। সাত বছর ধরে মোবাইলে কথা বলা ও দেখা করা ছাড়া তার সঙ্গে অন্য কোনো সম্পর্ক নেই। ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই শাহীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।