নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের মামলায় ভিডিও ফুটেজ দেখে চারজনকে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের নোয়াখালীর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে নেয়া হলে বিচারক কাজী সোনিয়া আক্তার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে রোববার রাতে চৌমুহনী পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে বেগমগঞ্জ থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর গ্রামের মো. ইউসুফ, করিমপুর গ্রামের মো. আব্দুর রহিম সোহাগ, গনিপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম রিপন এবং বেগমগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নের আটিয়াকান্দি গ্রামের ইনজামুল আলী প্রত্যয়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময়কার ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করার পর চার আসামিকে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) গ্রেপ্তার করে।
পাঁচ আসামির রিমান্ড
চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক হামলার মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আরও পাঁচ আসামিকে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত। এসপি শহীদুল ইসলাম জানান, নোয়াখালীর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে সোমবার বেলা ৩টার দিকে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক কাজী সোনিয়া আক্তার এ আদেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে মোজাম্মেল হোসেন ও বেলাল হোসেনকে তিন দিন করে এবং জহিরুল ইসলাম জুয়েল, আরফাত হোসেন সাব্বিরকে দুই দিন করে রিমান্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া পারভেজ হোসেন নামের এক আসামির এক দিনের রিমান্ড দেয় আদালত।
জেলা পুলিশ জানায়, নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় করা ৩০ মামলায় ২২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজন দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৪১ জনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।