বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এএসআই-বাদী ‘অন্তরঙ্গ’: পুলিশের মামলায় গ্রেপ্তার ১৩

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:৫২

গুজব, মারপিট ও অর্থ ছিনিয়ে নেয়াসহ সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে শনিবার কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় ২০ জনের নাম ছাড়াও গ্রামের ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করা হয়।

গাইবান্ধায় বাদীর সঙ্গে ‘অন্তরঙ্গ’ অবস্থায় গ্রামবাসীর হাতে আটক সেই এএসআইকে প্রত্যাহারের পর লাঞ্ছিত ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে অর্ধশতাধিক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিশ্চিত করেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহিল জামান।

গ্রেপ্তাররা হলেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের আবদুল খালেক, আমজাদ আলী, সুমন মিয়া, বকুল মিয়া, মুকুল মিয়া, জহুরুল ইসলাম, শাহজাহান আলী, আবদুর রাজ্জাক, হামিদুল ইসলাস, রবিউল ইসলাম, নাজমুল হক ও রাজু মিয়া। আরেকজনের নাম জানা যায়নি।

পুলিশের মামলার এজাহারে বলা হয়, ধর্মপুর (ছড়ারপাতা) গ্রামের এক মামলার বাদীর গাছ জোর করে কেটে নেয়ার অভিযোগ পেয়ে ২৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এএসআই তোফাজ্জল হোসেন সাদা পোশাকে তার বাড়িতে যান। পরে বাদীর অভিযোগ শুনে আসার সময় ওই নারীর ভাসুর মাসুদ মিয়া তোফাজ্জলকে গালমন্দ করেন। এরপর চিৎকার করে গ্রামবাসীকে জড়ো করে তোফাজ্জলকে আটক করে উঠানের আম গাছে বেঁধে ফেলেন।

এরপর মাসুদসহ কয়েকজন তোফাজ্জলকে বেধড়ক মারপিট করেন। তা ছাড়া তার পকেটা থাকা নগদ টাকা ও হাতঘড়ি লুট করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে যায়। পরে উত্তেজিত মানুষ তাদের উপরেও হামলার প্রস্তুতি নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তোফাজ্জলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তোফাজ্জল হোসেনকে প্রত্যাহার করে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করে বাহিনীটি।

এ ঘটনায় পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার গুজব, মারপিট ও অর্থ ছিনিয়ে নেয়াসহ সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় ২০ জনের নাম ছাড়াও গ্রামের ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করা হয়।

তবে গ্রামবাসীর অভিযোগ, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ছড়ারপাতা গ্রামের এক সৌদিপ্রবাসীর বাড়িতে যান তোফাজ্জল। কিছু সময় পর ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে গোয়ালঘরে ‘অন্তরঙ্গ’ অবস্থায় তাকে দেখে ফেলেন এক প্রতিবেশী। পরে তোফাজ্জলকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে পুলিশে খবর দেয় গ্রামবাসী।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক প্রতিবেশী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে ওই নারীর ভাসুরের সঙ্গে তার স্বামীর জমি নিয়ে বিরোধ হয়। স্বামী প্রবাসে থাকায় এই ঘটনায় ভাসুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান এএসআই তোফাজ্জল। তদন্তের খাতিরে ওই গৃহবধূর বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল তার। সেই থেকে তাদের সখ্য গড়ে ওঠে।’

মামলার বাদী কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গুজব ছড়িয়ে পুলিশ সদস্যকে আটকের পর গাছে বেঁধে নির্যাতন, অর্থ-সরঞ্জাম লুট, বাকি সদস্যদের ওপর হামলার প্রস্তুতিসহ সরকারি কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার পর আদালতে নেয়া হয়েছে।’

আসামিদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছি। এ ছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারসহ ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর