ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেয়াকে আগেই অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে স্বীকার করেছেন বিচারিক আদালতের দুই বিচারক। এবার এ ভুলের জন্য হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন তারা।
রিমান্ডের বিষয়ে দ্বিতীয় দফা ব্যাখ্যা চাওয়া হলে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম ব্যাখা দেন। তারা লিখেছিলেন, এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। ওই ব্যাখায় সন্তুষ্ট হয়নি হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এসএম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন বিচারিক আদালতের দুই বিচারক। এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য দুপুর ২টায় সময় রেখা হয়েছে।
নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে করা দুই বিচারকের আবেদনের একটি কপি নিউজবাংলার হাতে এসেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামের পক্ষে গত ২৪ অক্টোবর সময় প্রার্থনা করেন আইনজীবী আব্দুল আলিম মিয়া জুয়েল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান। অন্যদিকে পরীমনির পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও মুজিবর রহমান।
এর আগে একবার ব্যাখ্যা দেন দুই বিচারক। তখন তাদের ব্যাখ্যায় সন্তোষ না হওয়ায় তাদেরকে হাইকোর্ট ফের সময় দেয় ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য।
মাদক মামলায় তিন দফায় রিমান্ডে নেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটটি করেন অভিনেত্রী পরীমনি। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করে।
পরীমনিকে গত ৪ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়। ৫ আগস্ট তাকে আদালতে উপস্থিত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। ১০ আগস্ট চার দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে তাকে আবার দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
রিমান্ড শেষে ১৩ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। এরপর আবার তাকে তৃতীয় দফায় একই মামলায় এক দিনের রিমান্ড দেয়া হয়।
এর মধ্যে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২৯ আগস্ট উচ্চ আদালতের রায় না মেনে মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে বারবার দেয়া রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। আবেদনে পরীমনিকে রিমান্ডে নেয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায় না মানার অভিযোগ আনা হয়।