ফেনী শহরের ট্রাংক রােডে কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ ও কেন্দ্রীয় কালীমন্দিরের সামনে সংঘর্ষের সময় আহত যুবক এনামুল হক কাউছারের মৃত্যু হয়েছে। তার পরিবার জানিয়েছে, সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এনামুল চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখানে শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেন সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম পলাশ।
এনামুল সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন কি না তা জানতে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
এনামুলের বাড়ি সােনাগাজীর মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভােয়াগ গ্রামে। তিনি ওই এলাকার ব্যবসায়ী একরামুল হক সবুজের বড় ছেলে।
গত ১৬ অক্টোবর বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শহরের কেন্দ্রীয় বড় মসজিদ ও জয়কালী মন্দিরের সামনে হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চার শতাধিক ফাঁকা গুলি চালায়।
এনামুলের আত্মীয় ফরহাদ হোসেন জানান, ঘটনার দিন নিজের দোকানের জন্য মালামাল কিনতে এনামুল শহরের ওই ট্রাংক রোড এলাকায় যান। সে সময় বড় মসজিদের সামনে সংঘর্ষ শুরু হয়। গুলি গিয়ে লাগে কাউছারের মাথা ও মুখে।
ফরহাদ জানান, তখনই তাকে ফেনী শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে এনামুলকে রাজধানীতে আনা হয়। ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি শুনেছি, প্রকৃত কারণ জানার জন্য নিহতের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।’