বিএনপির পায়ের নিচে মাটি থাকলে দলটি নির্বাচনে আসত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নেতিবাচক ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির কারণে বিএনপি শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন বলেও মনে করেন তিনি।
ঢাকার বাসভবনে শনিবার ব্রিফিংকালে কাদের এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, গত এক যুগ ধরে বিএনপি বলে আসছে সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। আসলে সরকার নয়, বিএনপির পায়ের নিচেই মাটি নেই। পায়ের নিচে মাটি থাকলে তারা রাজপথে নামত; নির্বাচনেও আসত।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে নেতিবাচক ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির জন্য বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই। তাই তারা শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন এবং নির্বাচনবিমুখ।’
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে সময় প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা। সে জন্য বিএনপির ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন তিনি।
গণতন্ত্রের বিকাশ নিয়ে কাদের বলেন, ‘রাতারাতি গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় না, কিন্তু বিএনপি যদি আজকে বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করত, তাহলে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে খুব দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হতো না। সরকার ও বিরোধী দল উভয় মিলেই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারে, কিন্তু সেখানে বিরোধী দল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে বারবার বাধা সৃষ্টি করছে।’
বিএনপি আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে এখন সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পরমতসহিষ্ণু বলেই বিএনপি এখনও রাজনীতি করছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিই গণতন্ত্রকে বঙ্গোপসাগরে ফেলতে চেয়েছিল। সোয়া এক কোটি ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে বিএনপিই গণতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিল।’
তিনি বলেন, “সংবিধান থেকে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মূলোৎপাটনও করেছে বিএনপি। জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থাকাকালীন ‘হ্যাঁ’, ‘না’ ভোট করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল।”
গণতান্ত্রিক বিকাশের পথে অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে ‘সঠিক ট্র্যাকে’ এনেছেন বলেও দাবি করেন কাদের। তার ভাষ্য, ‘বিএনপি তাদের অগণতান্ত্রিক আচরণ এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দিয়ে গণতন্ত্র বিকাশে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।’