বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রেম ভাঙার হতাশা থেকে ছিনতাইয়ে

  •    
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৪৩

নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান জানান, ঘটনার দিন বিমানবন্দরে বাবা আসছে জানিয়ে আজিমুদ্দিনের অটোরিকশাটি ভাড়া করেন হেলাল। পরে আজিমুদ্দিনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে বিভিন্ন স্থানে ঘোরার কথা বলেন। ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে দোকান থেকে জুস কিনে তার মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে চালককে খাওয়ান হেলাল। আজিমুদ্দিন নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে নির্জন স্থানে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে চলে যান হেলাল।

দিনাজপুর শহরের উত্তর বালুবাড়ি এলাকার হেলাল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন এক তরুণীর সঙ্গে। মিথ্যা পরিচয় ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর ভেঙে যায় সেই প্রেম।

বিষয়টি ভুলে থাকতে এরপর ঘুমের ওষুধ সেবন করে দীর্ঘক্ষণ ঘুমিয়ে থাকতেন তিনি। সেখান থেকেই তার মাথায় আসে ওই ওষুধ খাইয়ে ছিনতাইয়ের।

ডান পায়ে আঘাত পাওয়ায় খুঁড়িয়ে হাঁটেন হেলাল। ছিনতাইয়ের কাজে সেটিও কাজে লাগান তিনি।

শারীরিক সমস্যাকে ব্যবহার করে অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে প্রথমে সখ্য গড়ে তুলতেন তিনি। এরপর পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে নিয়ে যেতেন অটোরিকশা।

নীলফামারীতে অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের হোতা হেলালসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি অটোরিকশা ও একটি অটোরিকশার অংশবিশেষ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত সৈয়দপুর ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

হেলাল ছাড়া গ্রেপ্তার আটজন হলেন চোরাই অটোরিকশার ক্রেতা উজ্জল ইসলাম ও আনসার আলী, ভাঙারি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন, খুচরা ক্রেতা জাবিরুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান ও ফার্মেসি ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ। তাদের সবার বাড়ি দিনাজপুরের বিরল ও পার্বতীপুর উপজেলায়।

গত ২৪ অক্টোবর সকালে সৈয়দপুর শহর থেকে অটোরিকশা চুরি হয় চালক আজিমুদ্দিন প্রামানিকের। পরে তিনি সৈয়দপুর থানায় মামলা করলে তদন্তের দায়িত্ব পায় নীলফামারী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

সংবাদ সম্মেলনে নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান জানান, ঘটনার দিন বিমানবন্দরে বাবা আসছে জানিয়ে আজিমুদ্দিনের অটোরিকশাটি ভাড়া করেন হেলাল। পরে আজিমুদ্দিনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে বিভিন্ন স্থানে ঘোরার কথা বলেন।

ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে দোকান থেকে জুস কিনে তার মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে চালককে খাওয়ায় হেলাল। আজিমুদ্দিন নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে নির্জন স্থানে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে চলে যান হেলাল। পরে দিনাজপুরের বিরলে পূর্ব পরিচিত মহাজনের কাছে ৩০ হাজার টাকায় সেটি বিক্রি করে দেন।

এসপি বলেন, ‘হোতা হেলাল অশিক্ষিত, কিন্তু অত্যন্ত চৌকস। প্রতিবন্ধী হওয়ায় মানুষের সহানুভূতি কাজে লাগিয়ে চুরি করেন তিনি। বাকি আটজন অটোরিকশা চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া আর কারা জড়িত রয়েছে তাদের বের করার কাজ চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর