বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রদের চুল কাটা সেই শিক্ষক এবার চেয়ারম্যান প্রার্থী

  •    
  • ২৮ অক্টোবর, ২০২১ ২২:৩৬

রিটার্নিং কর্মকর্তা কে এম মোস্তাক আহমেদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, বুধবার বিকেলে কয়েক ব্যক্তি এসে বামনী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মঞ্জুরুল কবিরের নামে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। সেখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান তাফাজ্জল হোসেনকে।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সাত ছাত্রের চুল কেটে দেয়া মাদ্রাসা শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির জামিনে বের হয়ে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।

তিনি উপজেলার বামনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন। মঞ্জুরুল ওই ইউনিয়নের জামায়াতের আমির।

হামছাদী কাজির দিঘীরপাড় আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মঞ্জুরুল এবার চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে আবার আলোচনায় এলেন।

২৮ নভেম্বর বামনী ইউনিয়নের ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা কে এম মোস্তাক আহমেদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, বুধবার বিকেলে কয়েক ব্যক্তি এসে বামনী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মঞ্জুরুল কবিরের নামে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। সেখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান তাফাজ্জল হোসেনকে।

সোমবার সন্ধ্যায় মঞ্জুরুল কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। জেল গেটে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন নেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার ফেসবুকে ভিডিও বার্তা দেন মঞ্জুরুল। তাতে তিনি ইউপি নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা জানান এবং চুল কাটা ও জেলে যাওয়ার ঘটনাকে নির্বাচন কেন্দ্রিক ষড়যন্ত্র হিসেবে দাবি করেন। তবে তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি।

ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে নৈতিকতা সংরক্ষণ কমিটি আছে। আমি সেই কমিটির সদস্য। আমরা বাচ্চাদের চুল, নখ, ড্রেস, দাঁত- এগুলো শিক্ষার পাশাপাশি দেখি। এসব আদবের একটি অংশ মনে করি। সে হিসেবে কয়েকটি বাচ্চাকে এক সপ্তাহ ওয়ার্নিং দেয়ার পরও তারা চুল বড় রাখায় কেটে দিয়েছি। বিষয়টি আমরা খুব পজিটিভলি দেখেছি।

‘এটা যে আইনের প্রবলেম, বিষয়টা আমাদের ধারণা ছিল না। বিষয়টা নিয়ে যারা কাদা ছোড়াছুড়ি করেছেন, তাদের প্রতি আমার রাগ নেই। আমি গ্রেপ্তার হয়েছি, আইনিভাবে আবার জামিনে মুক্তি পেয়েছি।’

আট মিনিট ১৯ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তার এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকরা স্বাধীনভাবে এখন আর পাঠদান করাতে পারছে না।’

গত ৬ অক্টোবর মঞ্জুরুল দাখিল শ্রেণির ছাত্রদের শ্রেণিকক্ষের সামনের বারান্দায় দাঁড় করিয়ে একটি কাচি দিয়ে এলোমেলোভাবে মাথার সামনের অংশের চুল কেটে দেন। এ ঘটনার এক মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ৮ অক্টোবর সকাল থেকেই ফেসবুকে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

ওই রাতেই মঞ্জুরুলকে উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কাজিরদিঘীর পাড় এলাকা থেকে আটক করে রায়পুর থানা পুলিশ।

ওই দিন রাতে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মা বাদী হয়ে শিশু নির্যাতন দমন আইনে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৯ অক্টোবর বিকেলে লক্ষ্মীপুরের আদালতে নিলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত থেকে জামিন নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান মঞ্জুরুল কবির।

এ বিভাগের আরো খবর