বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মণ্ডপে হামলায় নুরের সংগঠনের ৭ সদস্য রিমান্ডে

  •    
  • ২২ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:১১

ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় যুব অধিকার পরিষদের ৯ নেতা-কর্মীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা ঘটনার পরিকল্পনায় ছিলেন। সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে হামলার নেতৃত্বও দিয়েছেন।’

চট্টগ্রামের জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় করা মামলায় যুব অধিকার পরিষদের সাত সদস্যের এক দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

যুব অধিকার পরিষদ ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন সংগঠন।

চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক শফি উদ্দিন শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ আদেশ দেন।

এর আগে দুপুরে যুব অধিকার পরিষদের গ্রেপ্তার ১০ জনের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডে পেয়েছে যুব অধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. নাছির, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, বায়েজিদ থানার আহ্বায়ক মো. রাসেল, কর্মী ইয়াসিন আরাফাত, হাবিবুল্লাহ মিজান, ইমন ও ইমরান হোসেন।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবলু কুমার পাল।

তিনি জানান, গ্রেপ্তার বাকি তিনজনের বয়স ১৯ বছরের কম হওয়ায় তাদের রিমান্ডে চাওয়া হয়নি।

এসআই বাবলু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে গ্রেপ্তার ১০ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য পেয়েছি আমরা। ঘটনার পরিকল্পনায় এবং নেতৃত্বে যুব অধিকার পরিষদের এসব নেতারা ছিল বলে জানতে পেরেছি। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত জনকে আদালতে হাজির করে তাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করি। আদালত আসামিদের এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।’

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পূজামণ্ডপের হামলা, ভাঙচুর ও ব্যানার ছেঁড়ার পরিকল্পনায় জড়িত হিসেবে যুব অধিকার পরিষদের ৯ নেতা-কর্মীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় যুব অধিকার পরিষদের ৯ নেতা-কর্মীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা ঘটনার পরিকল্পনায় ছিলেন। সাধারণ মানুষকের ব্যবহার করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে হামলার নেতৃত্বও দিয়েছেন।’

‘আমরা কিছু ফোন কল রেকর্ডও সংগ্রহ করেছি। সেসবেও তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। শুধু তা-ই নয়, এই ঘটনায় আরও যারা জড়িত ছিল, আমরা তাদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আশা করি, দোষী সবাইকে দ্রুতই আইনের আওতায় নিয়ে আসা যাবে।’

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগের জেরে ১৫ অক্টোবর জুমার নামাজের পর এক প্রতিবাদ মিছিল থেকে নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকায় জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা করা হয়। এ সময় মণ্ডপের প্রবেশ পথ ও তোরণ ভাঙচুর এবং ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন হামলাকারী।

এই ঘটনায় পরদিন ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে উপপরিদর্শক (এসআই) আকাশ মাহমুদ ফরিদ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর