বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মণ্ডপে হামলা নূরের যুব সংগঠনের পরিকল্পনায়: পুলিশ

  •    
  • ২২ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:০৩

ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় যুব অধিকার পরিষদের ৯ নেতা-কর্মীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা ঘটনার পরিকল্পনায় ছিলেন। সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে হামলার নেতৃত্বও দিয়েছেন।’

চট্টগ্রামের জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপের হামলা, ভাঙচুর ও ব্যানার ছেঁড়ার পরিকল্পনায় যুব অধিকার পরিষদের নেতারা জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

যুব অধিকার পরিষদ ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন সংগঠন।

শুক্রবার বেলা ২টার দিকে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় যুব অধিকার পরিষদের ৯ নেতা-কর্মীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা ঘটনার পরিকল্পনায় ছিলেন। সাধারণ মানুষকের ব্যবহার করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে হামলার নেতৃত্বও দিয়েছেন।’

‘আমরা কিছু ফোন কল রেকর্ডও সংগ্রহ করেছি। সেসবেও তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। শুধু তা-ই নয়, এই ঘটনায় আরও যারা জড়িত ছিল, আমরা তাদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আশা করি, দোষী সবাইকে দ্রুতই আইনের আওতায় নিয়ে আসা যাবে।’

এর আগে শুক্রবার রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যুব অধিকার পরিষদের ৯ নেতা-কর্মীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ১০ জন হলেন যুব অধিকার পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক মো. নাছির, সদস্যসচিব মিজানুর রহমান, বায়েজিদ থানার আহ্বায়ক রাসেল, ইয়ার মোহাম্মদ, মো. মিজান, গিয়াস উদ্দিন, ইয়াসিন আরাফাত, হাবিবুল্লাহ মিজান, ইমন ও ইমরান হোসেন।

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগের জেরে ১৫ অক্টোবর জুমার নামাজের পর এক প্রতিবাদ মিছিল থেকে নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকায় জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা করা হয়। এ সময় মণ্ডপের প্রবেশ পথ ও তোরণ ভাঙচুর এবং ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন হামলাকারী।

এই ঘটনায় পরদিন ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে উপপরিদর্শক (এসআই) আকাশ মাহমুদ ফরিদ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর