বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সদিচ্ছা থাকলে হিন্দুদের ওপর হামলা ঠেকানো যেত

  •    
  • ২২ অক্টোবর, ২০২১ ১৩:৩৩

হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে এই ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশাসনের মধ্যে এখনও ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে মৌলবাদী চক্র।’

প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে দুর্গাপূজার সময় সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ঠেকানো যেত বলে মনে করছে জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে শুক্রবার হিন্দু মহাজোট আয়োজিত প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশে এমন মত দেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র বিশ্বাস।

তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজার সময় সারা দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর সহিংসতা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়; বরং এটা হিন্দু ধর্মের ওপর সুস্পষ্ট আঘাত।’

দুর্গাপূজার মধ্যে প্রথমে কুমিল্লা শহরে একটি মন্দিরে কোরআন রাখাকে কেন্দ্র করে হিন্দুদের পূজামণ্ডপ ভাঙচুর করা হয়। পরে নোয়াখালী, বরিশাল, রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা হয়।

এ নিয়ে সুধাংশু বলেন, ‘প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে এই ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশাসনের মধ্যে এখনও ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে মৌলবাদী চক্র।

‘সরকারের দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রশ্নে নমনীয় নীতির কারণে আজকের এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।’

হিন্দু মহাজোটের ভাষ্য, দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় এখনও মন্দির, প্রতিমা ভাঙচুর করা হচ্ছে। আগে রাতের আঁধারে মন্দির ভাঙা হতো। এখন দিনে মন্দির ভাঙা হচ্ছে।

সংগঠনটি বলছে, এ ধরনের ঘটনায় কেউ ধরা পড়লে প্রশাসন তাকে ‘পাগল ও মানসিক ভারসাম্যহীন’ আখ্যা দিচ্ছে। অর্থাৎ হিন্দু নির্যাতনে জড়িতকে ‘পাগল’ বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে।

কুমিল্লার ঘটনায় কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, ইকবাল অপ্রকৃতিস্থ।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের প্রধান সমন্বয়কারী শ্যামল কুমার রায়, নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে, সহসভাপতি প্রভাস চন্দ্র মণ্ডলসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর