বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগের শান্তি মিছিল লজ্জার: ফখরুল

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ২১:২৬

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অশান্তি ঘটালেন আপনারা, আগুন দিলেন আপনারা, মারলেন আপনারা, গুলি করলেন আপনারা এবং নিরীহ মানুষদের হত্যা করে আজকে শান্তি মিছিল বের করছেন। এর চেয়ে লজ্জার বিষয় আর কিছু হতে পারে না। এই আওয়ামী লীগ এটাই। এটাই আওয়ামী লীগের খাঁটি চরিত্র। এটাই তারা করে এসেছে জন্মের পর থেকে।’

হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী শান্তি মিছিলকে ক্ষমতাসীন দলের ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার’ উপায় হিসেবে দেখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এ দেশে বিভাজন সৃষ্টি করছে এবং বিভাজন সৃষ্টি করে তারা এটাকে পুঁজি করে সেটাকে আবার তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চাচ্ছে।

‘অশান্তি ঘটালেন আপনারা, আগুন দিলেন আপনারা, মারলেন আপনারা, গুলি করলেন আপনারা এবং নিরীহ মানুষদের হত্যা করে আজকে শান্তি মিছিল বের করছেন। এর চেয়ে লজ্জার বিষয় আর কিছু হতে পারে না। এই আওয়ামী লীগ এটাই। এটাই আওয়ামী লীগের খাঁটি চরিত্র। এটাই তারা করে এসেছে জন্মের পর থেকে।’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে এক আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: নিউজবাংলা

এবারের পূজামণ্ডপে মানুষজনের কম উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘এই সাম্প্রদায়িক সমস্যা-সংকট সরকার তৈরি করেছে। এখানে দাদা (গয়েশ্বর চন্দ্র রায়) আছেন, দাদার বাড়িতে পূজা হয়েছে, সেই বাড়িতে আমরা গিয়েছিলাম। এর আগের বছর যখন গিয়েছি, তখন দেখেছি কী উৎসব কী আনন্দ! সেখানে কাছাকাছি আরো কয়েকটা পূজামণ্ডপে পূজা হচ্ছে, লোকজন রাস্তায় বোঝাই হয়ে ছিল।

‘এবার গিয়ে দেখলাম দাদার বাড়িতে ওইভাবে লোক নেই। কারণ, মানুষ ভয় পেয়ে গেছে, সেভাবে লোক আসছে না। পূজা সেভাবে হচ্ছে না।

‘ঢাকেশ্বরী মন্দিরেও আমি দেখেছি অনেক কম মানুষ। বনানীতে পূজামণ্ডপে গেছি। সেখানেও অনেক কম মানুষ। কেন? আমাদের অন্যতম ভাই, আমাদের পাড়া-প্রতিবেশী, আমাদের দেশের স্বাধীন নাগরিক তারা কোনো তাদের ধর্মের উৎসব পালন করতে পারবে না?’

সরকার হটানোর আহ্বান

ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন এ দেশের মানুষ অনেক বেশি কষ্ট পাবে। আমাদের অর্জনগুলো সব হারিয়ে যাবে। আমরা আরও বেশি নিচের দিকে নামতে থাকব। তাই আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সব সচেতন মানুষ যারা আছি তাদের এই দানবীয় সরকারকে সরাতে হবে।’

সরকার পতনের দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, সাদা-কালো, বাম-ডান সবাইকে এক হয়ে এদের সরাতে হবে।

‘এদের সরিয়ে এখানে জনগণের একটা রাষ্ট্র নির্মাণ করতে হবে, জনগণের একটা সরকার তৈরি করতে হবে, জনগণের একটা বাসভূমি তৈরি করতে হবে। তাহলেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেবকে সবচেয়ে বেশি সম্মান প্রদর্শন করা হবে।’

দেশে গণতন্ত্র নেই অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র তারা নিজের হাতে শেষ করেছে ১৯৭৫ সালে এবং এবার ২০০৮ সাল থেকে শুরু করেছে।

‘বাংলাদেশের আত্মা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক সমাজ, মুক্ত সমাজ। সেই আত্মাকে তারা ধ্বংস করছে পরিকল্পিতভাবে। তারা কথা বলতে দেয় না, লিখতে দেয় না।’

বিএনপির এই আয়োজন টেলিভিশনে বড়জোর দুই সেকেন্ড/তিন সেকেন্ড বা ১/২ মিনিট দেখানো যাবে, পত্রিকায় এক কলাম সংবাদ হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘আমি বলি দোষ তাদের না। তাদের ম্যানজেমেন্ট, মালিক… যারা সবাই কোনো না কোনোভাবে সরকারের সঙ্গে জড়িত আছে। হয় ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্য কোনোভাবে অথবা সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে। যদি কিছু লিখতে যায় সাংবাদিকের চাকরি চলে যায়, পত্রিকা বন্ধ হয়ে যায়।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটির ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা হয়।

সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও শামীমুর রহমান শামীমের পরিচালনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, পেশাজীবী নেতা গাজী আব্দুল হক, প্রকৌশলী মিয়া মুহাম্মদ কাইয়ুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলামও রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর