এখন থেকে জুন ও ডিসেম্বর মাস শেষ হওয়ায় পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে সাধারণ ব্যাংকগুলোকে অ-ব্যাংকিং সম্পদের ষান্মাসিক তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে হবে।
রোববার সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ‘ঋণের বিপরীতে বন্ধকী সম্পদের মালিকানা ব্যাংকের অনুকূলে পাওয়ার পর দ্রুত তা ব্যাংকের নামে রেজিস্ট্রেশন ও মিউটেশন করে দখলী স্বত্ব নিশ্চিত করতে হবে।’
‘প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে ঋণ সমন্বয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। কোনোভাবেই এ ধরনের সম্পদ বেশি দিন নিজ অধিকারে রাখা যাবে না। সম্পদ অর্জনের পর যত দ্রুত সম্ভব বিক্রি করে ঋণ সমন্বয় করতে হবে। তবে প্রয়োজন হলে ওই সম্পদ সম্পূর্ণ বা আংশিক নিজস্ব কাজে ব্যবহার করা যাবে।’
সার্কুলারের সঙ্গে অ-ব্যাংকিং সম্পদের তথ্য পাঠানোর জন্য একটি ছক দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত ছকে সম্পদের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফ সাইট সুপারিভশন বিভাগে পাঠাতে হবে।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে অ-ব্যাংকিং সম্পদ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংকের খেলাপি ঋণের বিপরীতে জামানত বা বন্ধকী সম্পদে মালিকানা পেলে তা দ্রুত বিক্রির ব্যবস্থা নিতে হবে। বন্ধকী সম্পদমূল্য মোট পাওনার চেয়ে বেশি হলে গ্রাহককে খেলাপিমুক্ত করে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) রিপোর্ট করতে হবে। আর যদি সম্পদমূল্য পাওনা ঋণের চেয়ে কম হয় তাহলে অনাদায়ী অর্থ আদায়ের জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।