দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল চাইলেও রাষ্ট্রবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী দল চান না স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সোমবার তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সভায় তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল অবশ্যই থাকবে। না থাকার কোনো সুযোগ নেই। আমরা শক্তিশালী ও গঠনমূলক বিরোধী দল চাই। তবে রাষ্ট্রবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী দল চাই না।
‘যারা মানুষের অকল্যাণ বয়ে আনে তারা নয়, যে দল মানুষের কল্যাণে কাজ করবে তাদের চাই। বিরোধী দল সৃজনশীল হবে, সরকারের দোষ-ত্রুটি, ভুল-ভ্রান্তি জনগণের সামনে তুলে ধরে সরকারকে জবাবদিহির ব্যবস্থা করবে। এমন বিরোধী দল দেশে দরকার।’
তিনি বলেন, ‘এটা হলে সরকার তাদের দায়িত্ব পালনে আরও বেশি সতর্ক হবে। কিন্তু দেশকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য, উন্নয়নকে ব্যাহত করার জন্য এবং বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চেষ্টায় থাকা বিরোধী দল না থাকা ভালো।
‘রাজনৈতিক দলের কাজ হচ্ছে দেশকে পরিচর্যা করা, মানুষের সেবা করা। ইচ্ছাকৃতভাবে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা না। আর এটা করার অধিকার কারও নেই। যত ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যাব।’
বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণা করে মন্ত্রী বলেন, ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট শেখ মুজিব এবং ছোট্ট শিশু রাসেলকে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করে। রাসেল হত্যার নিষ্ঠুরতা যদি নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করা যায় তাহলে তারা সেদিনের নির্মমতা অনুধাবন করতে পারবে। শেখ রাসেল ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। তাঁর সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে জানতে হবে। শেখ রাসেলের জীবনী পড়লে বর্তমান প্রজন্মের সৃজনশীলতা আরও বাড়বে।
‘শেখ রাসেলকে কেন হত্যা করা হয়েছে? তার কী দোষ ছিল? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছেন, মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দিয়েছেন। তিনি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার জন্য কি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে? এসব প্রশ্ন আমাদের খুব ব্যথিত করে।’