কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড়ে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগের জেরে সহিংসতার মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের একজন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একরাম হোসেন বাবু।
এই জনপ্রতিনিধি জামায়াতে ইসলামের রাজনীতিতে জড়িত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পুলিশ বলছে, কেবল বাবু নয় অন্য আসামিদের কার বা কাদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলার তদন্তে এটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাবু বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশের করা একটি মামলার ২৩ নম্বর আসামি। তার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।’
কুমিল্লায় সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচটি মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৯০০ জনসহ ৯৬২ জনকে আসামি করা হয়েছে। পাঁচ মামলার মধ্যে চারটি করেছে পুলিশ, বাকি একটি র্যাব।
পুলিশের দুটি মামলা বিশেষ ক্ষমতা আইনে, একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং অন্যটি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের। র্যাব মামলাটিও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা।
পুলিশ পরিদর্শক কমল কৃষ্ণ ধর জানান, পাঁচ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজাহারনামীয় ২২ আসামি পলাতক।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে তদন্ত করে দেখছি আসামিদের কাদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা আছে। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে এখন কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’