দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি যেন কমছেই না। এক সপ্তাহ ধরে যানবাহনের দীর্ঘ সারি ঘাট এলাকায়। প্রতিটা যানবাহনকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থেকে উঠতে হচ্ছে ফেরিতে।
দৌলতদিয়া ঘাটে রোববার সকালেও দেখা গেছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় ৪ কিমি যানবাহনের সিরিয়াল। তবে এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
প্রতিটা পরিবহনকে তিন থেকে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে গত দুই থেকে তিন দিন আগের পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে পারের অপেক্ষায়।
গোল্ডেন পরিবহন নামে ঢাকাগামী এক বাসযাত্রী মো. শাকিল জানান, সারা বছরই ভোগান্তির শিকার হয়ে তাদের পদ্মা পাড়ি দিতে হয়। দ্বিতীয় পদ্মা সেতু না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ ভোগান্তি কমবে না।
খুলনা থেকে আসা আরেক যাত্রী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘কত সময় বসে থাকা যায়। একে তো গরম তারপর দীর্ঘ জ্যাম। এই নৌরুট গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ। ফলে ওই রুটের যানবাহনের চাপ পড়েছে দৌলতদিয়া ঘাটে। এ ছাড়া পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় এবং দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে ড্রেজিং চলায় ফেরি ভিড়তে পারছে না। ফলে দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন জানান, এই রুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৯টি ফেরি চলছে। তবে মানুষের ভোগান্তি কমাতে যাত্রী পরিবহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।তিনি আরও জানান, ঘাট এলাকায় ড্রেজিং কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ও শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক না হওয়া পযর্ন্ত এ যানজট নিরসন হবে না।