কুমিল্লার পূজামণ্ডপের প্রসঙ্গে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ও ধর্মীয় সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে। এ বিষয়ে সজাগ থাকার জন্য আমি আপনাদের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পূণ্যভূমি। এদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধন অত্যন্ত সুদৃঢ়। আমাদের সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি ধর্ম নিরপেক্ষতা যা প্রতিটি ধর্মের অনুসারীদেরকে নিজ নিজ ধর্ম মতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসবাদি পালনের নিশ্চয়তা দিয়েছে।
‘গত ১২ বছর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমূখর পরিবেশে পালিত হয়েছে। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দেশের এই উন্নয়নবান্ধব, স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ব্যহত করতে তৎপর রয়েছে। তাদের অপতৎপরতার বিষয়ে আমাদের সরকার সজাগ রয়েছে। আমরা কোন মতেই এদের অশুভ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হতে দেব না, ইনশাল্লাহ।’
বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কয়েকদিন ধরে সারা দেশে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে হিন্দু ধর্মের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হচ্ছিল। হঠাৎ করে গতকাল কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ রাখার একটি খবরকে কেন্দ্র করে দেশের কিছু কিছু জায়গায় পূজামণ্ডপে বিচ্ছিন্নভাবে হামলার খবর পাওয়া গেছে। এ সব বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যেন ফের না ঘটে এ বিষয়ে দেশের স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘একইসঙ্গে আমি দেশের সম্মানিত ইমাম, খতিব, পীর মাশায়েখসহ সকল ধর্মীয় নেতা, জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবি সংগঠনের নেতারাসহ জনগণকে দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার অনুরোধ করছি।’