লোভনীয় অফার দিয়ে গ্রাহকদের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম, এহসান গ্রুপের আট প্রতিষ্ঠান ও জেএমআর ডিজিটাল ইন্টারন্যাশনালসহ দশ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও আট ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধিত-২০১৫) সালের ২৩ (১) (গ) ধারার ক্ষমতা বলে ব্যাংক হিসাবগুলো ৩০ কার্যদিবসের জন্য স্থগিত থাকবে। এ সময় এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব থেকে আর কোনো টাকা তোলা যাবে না।
বিএফআইইউয়ের চিঠিতে হিসাব স্থগিত করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এহসান গ্রুপ, এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স, এহসান এমসিএস লিমিটেড, এহসান মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ, নুরে মদিনা ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট একাডেমি, মেসার্স নুর জাহান ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট একাডেমি, মেসার্স আল্লার দান বস্ত্রালয়, মেসার্স পিরোজপুর বস্ত্রালয়, কিউকম লিমিটেড ও জেএমআর ডিজিটাল ইন্টারন্যাশনাল।
এছাড়া কিউকমের মালিক রিপন মিয়া, এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসান ও তার ভাই আবুল বাশার খান শামীম এহসানসহ হিসাব স্থগিত করাদের তালিকায় রয়েছেন মাহমুদুল হাসান, সালমা হাসান, সুমনা হক রানী ও সাইফুল হক।
একইদিন বরখাস্ত পুলিশের পরিদর্শক সোহেল রানাসহ আরও ১৯ জনের হিসাব তলব করা হয়েছে। এসব ব্যক্তির হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি প্রোফাইল ও শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণীও পাঠাতে হবে।
হিসাব তলব করা ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশের পরিদর্শক গ্রেপ্তার সোহেল রানা, সনিয়া মেহজাবিন, ই-অরেঞ্জের মালিক বিথী আক্তার, এমএম ইস্পাহানির এক্সিকিউটিভ মোমেনা আক্তার মাসুমা, গ্রুপ ১৯৭১ এর পরিচালক নাজমা সুলতানা পিয়া, মোহাম্মদ জায়েদুল ফিরোজ, অনিরুদ্ধ রাজবংশী, প্রতিমা রাজবংশী, শুভাশিস রাজবংশী, জোছনা রাজবংশী, আতিকুল ইসলাম, লিপি ইসলাম, মোর্শেদা আক্তার রতনা, নিলুফা বেগম, মিজানুর রহমান, রেহেনা আক্তার, জিনাত ফাতেমা, আসানুল আজিম এবং নাসিম।