নামের মিল থাকায় নির্বাচনি প্রতিপক্ষ ফেসবুকে জামায়াত-শিবিরের এক কর্মীর ছবি যুক্ত করে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেন ইমাদ।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সোমবার সন্ধ্যায় ইমাদ জানান, তার নামের সঙ্গে মিল থাকা ব্যক্তি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিতে জড়িত। বর্তমানে তিনি ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করছেন। তিনি বা তার পরিবারের কেউ জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিতে জড়িত না। ভবিষ্যতে সেই সম্ভাবনা নেই।
দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ইমাদ। রোববার দলটির মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এই সিদ্ধান্ত আসে।
খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ফেসবুকজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর দাবি, ইমাদ ছাত্র শিবিরের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এ সময়ে ইমাদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতের সমর্থনে দেয়া বিভিন্ন স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলছেন, ইকবাল হোসেন ইমাদ ২০০৬-২০০৭ সালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি ছিলেন। ২০১৬ সাল পর্যন্ত জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৮ সালের দিকে এসে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এ নিয়ে সোমবার দুপুরে নিউজবাংলায় ‘শিবির থেকে’ আ.লীগে, ২ বছর পর নৌকার প্রার্থী- শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।এরপর সন্ধ্যায় এই ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ইকবাল হোসেন ইমাদ।লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, নৌকা প্রতীক না পেয়ে প্রতিপক্ষ তাকে জামায়াত-শিবিরের লোক বানানোর চেষ্টা করছে। ২০০৫ সালে এইচএসসি পাস করে ২০০৭ সালে তিনি উচ্চশিক্ষা নিতে দেশের বাইরে চলে যান।
২০১৬ সালে দেশে ফিরে ব্যবসা শুরু করেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেন। কার্যনির্বাহী সদস্য হন দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের। ইমাদ বলেন, ‘দলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের ১৮ ভোটের মধ্যে ১১টি পেয়েছি। দল আমাকে নৌকা প্রতীকের জন্য মনোনীত করেছে। কিন্তু নির্বাচন ও মনোনয়নকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষ আমার ছবি ব্যবহার করে ইকবাল হোসেন ইমাদ নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলে।
‘মূলত একই ইউনিয়নের মাওলানা আব্দুন নুরের ছেলে ইকবাল হোসেন ইমাদ জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি উপজেলা শিবিরের সেক্রেটারি ছিলেন। প্রতিপক্ষ সেই ইমাদের বিভিন্ন স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট নিয়ে আমার নামে জড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
ইমাদ আরও বলেন, ‘আমি জামায়াত-শিবির করলে আমার বিরুদ্ধে মামলা থাকত। আমার কিছু আত্মীয় আল ইসলাহ ও তালামীযে ইসলামিয়ার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এসব সংগঠন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকেই সমর্থন দিয়েছে।’সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ হাশিমসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।