করোনার বছরে আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ আয় করেছে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ। তবে তারা লভ্যাংশ একই হারে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও ধরন কিছুটা পাল্টেছে।
আগের বছর প্রতি ২০টি শেয়ারের বিপরীতে একটি বোনাস ও শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দিলেও গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য প্রতি ১০টি শেয়ারের একটি বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অর্থাৎ টানা দুই বছর বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ পাচ্ছেন ১০ শতাংশ করে।
তার আগের চার বছরে ২০১৬ সালে ১৫ শতাংশ (৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস), ২০১৭ সালে ১৮ শতাংশ বোনাস ও ২০১৮ সালে ১২ শতাংশ বোনাস ও ২০১৯ সালে ৭ শতাংশ বোনাস ও শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
কোম্পানিটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের সানলাইট ব্যাটারি উৎপাদন করে। এ ছাড়া অ্যারোসল, আগুন নেভানোর গ্যাস, টর্চ, এয়ার ফ্রেশনার, শেভিং ফোম উৎপাদন করে। জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের সান চিপসও এই কোম্পানিটির একটি পণ্য।
এবার কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৩৯ পয়সা, যা আগের বছরের দ্বিগুণ প্রায়। গত বছর শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৭০ পয়সা। ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর যা দাঁড়ায় ৬৭ পয়সা।
সোমবার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আয় বাড়লেও সম্পদমূল্যও কমেছে কাসেমের। জুন শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের বছর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ৩১ টাকা ১ পয়সা।
যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান তাদেরকে শেয়ার ধরে রাখতে হবে আগামী ৩ নভেম্বর। অর্থাৎ সেদিন হবে বার্ষিক সাধারণ সভা। এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৫ নভেম্বর।
গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এই সময়ে সর্বনিম্ন শেয়ার মূল্য ছিল ৩৫ টাকা ১০ পয়সা। সর্বোচ্চ দর ছিল ৬৫ টাকা ৬০ পয়সা।
সর্বোচ্চ দরের চেয়ে কিছুটা কমে লভ্যাংশ ঘোষণার দিন দাম ছিল ৫৮ টাকা ৭০ পয়সা।