করোনার বছরে কঠিন সময়ে লোকসান থেকে বেরিয়ে এসে বেশ ভালো পরিমাণে আয় করে লভ্যাংশ বাড়িয়েছে বস্ত্র খাতের তালিকাভুক্ত ম্যাকসন্স স্পিনিং কোম্পানি।
এবার শেয়ার প্রতি কোম্পানি আয় করেছে ২ টাকা ৭ পয়সা। এর মধ্যে এক টাকা ১০ পয়সা লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে হিসাব পর্যালোচনা করে রোববার পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
এই আয়ের সিংহভাগই হয়েছে গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত চতুর্থ প্রান্তিকে। মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১৫ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ শেষ প্রান্তিকে আয় হয়েছে ৯২ পয়সা।
কোম্পানিটির এই আয় ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ। আর লভ্যাংশ সবচেয়ে বেশি এসেছে ২০১১ সালের পর।
আগের বছর শেয়ার প্রতি ৩৭ পয়সা লোকসান করে কোম্পানিটি তার রিজার্ভ থেকে বিনিয়োগকারীদেরকে ২০ পয়সা করে লভ্যাংশ দিয়েছিল।
যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে শেয়ার ধরে রাখতে গবে ২১ নভেম্বর। অর্থাৎ সেদিন হবে রেকর্ড ডেট। লভ্যাংশ অনুমোদন করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ১৯ জানুয়ারি।
এবার কোম্পানিটির আয় বাড়বে, এমন সম্ভাবনায় শেয়ার মূল্যে উল্লম্ফন হয়েছে। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ৬ টাকা আর সর্বোচ্চ মূল্য উঠে ৩৫ টানা ৫০ পয়সা।
সাম্প্রতিক দর সংশোধনে কোম্পানিটির শেয়ারদর কিছুটা কমলেও লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ৭০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৩৩ টাকা ৭০ পয়সা।
কোম্পানিটির এবারের আয় গত ৫ বছরের সম্মিলিত আয়ের চেয়ে বেশি হয়েছে।
২০১৬ সালে শেয়ার প্রতি ৩৯ পয়সা, পরের বছর ৩৩ পয়সা, ২০১৮ সালে ৪৯ পয়সা এবং ২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি ১২ পয়সা মুনাফা করতে পারে কোম্পানিটি।
২০১১ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছিল। পরের তিন বছর লভ্যাংশ আসে ৫ শতাংশ করে।
তার পরের দুই বছর লভ্যাংশ আসেনি। এরপর ২০১৭ ও ২০১৮ সালে আবার ৫ শতাংশ করে লভ্যাংশ দেয়া হয়। আর ২০১৯ ও ২০২০ সালে লভ্যাংশ দেয়া হয় ২ শতাংশ করে।
এবার আয়ের পাশাপাশি সম্পদমূল্যও বেড়েছে ম্যাকসন্সের। গত ৩০ জুন শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৯ পয়সা। আগের বছর তা ছিল ১৮ টাকা ২০ পয়সা।