শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে ঘুমন্ত গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত রিনা বেগমের স্বজনদের দাবি, স্বামী সিকান্দার কাজী হত্যা করে পালিয়েছেন।
উপজেলার নাজিমপুরে রোববার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সিকান্দার ও রিনা দম্পতির চার সন্তান। সিকান্দার কৃষিশ্রমিক কিন্তু কর্মবিমুখ। তাই সংসার চালাতে স্ত্রী রিনা বেগম মাটিকাটা শ্রমিকের কাজ করেন।
করোনায় এলাকায় কাজ কমে গেলে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন রিনা। এ নিয়ে সংসারের অশান্তি আরও বেড়ে যায়। গত ১৫ দিন ধরে সিকান্দার কোনো কাজ না করায় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় সংসার চালাচ্ছিলেন রিনা।
ওসি আরও জানান, শনিবার রাতে তাদের মধ্যে খুব ঝগড়া হয়। রোববার ভোররাতে সিকান্দার ঘরের খাটে ঘুমন্ত রিনাকে কুপিয়ে পালিয়ে যান। ছেলে সাব্বিরের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।
ছয়গাঁও ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নীল চান সকাল ৯টার দিকে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
রিনা বেগমের ভাই সোহাগ সরদার বলেন, ‘২২ বছরের সংসারে আমার বোন কোনো সুখ পায়নি। বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে অভাব-অনটন। সিকান্দার এভাবে বোনকে কুপিয়ে মেরে ফেলবে, বুঝতে পারিনি। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করব।’
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বেশ কিছুদিন ধরে সিকান্দার পরিবারের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। রোববার ভোররাতে রিনা বেগমের মাথায় কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।