বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘৩০ লাখ শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না’

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১০ অক্টোবর, ২০২১ ০১:২৫

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে হত্যার চেষ্টায় জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ারা ব্যর্থ হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।

মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বলেছেন, আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করি, লালন করি, হৃদয়ের মধ্যে রাখতে পারি, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের যে কর্ম, সে কর্মের সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত হতে পারব। স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারব।

শনিবার দিনাজপুর জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেনের নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ বিষয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে। বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি পালন করছি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দেশ পরিচালনা করছি। এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই স্বাধীনতার সুখ তখনই অনুভব করি যখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করি, পঞ্চগড় থেকে ট্রেনে ঢাকা যাই, সৈয়দপুর থেকে বিমানে কক্সবাজার যাই, বিশ্ব দরবারে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মানিত হন।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবারও মুক্তিযুদ্ধের জায়গায় ফিরে গেছে। বাংলাদেশের সন্তানরা এখন মুক্তিযুদ্ধ চর্চা করে, মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে চায়, জানতে চায়। বঙ্গবন্ধুকে জানতে চায়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে মিথ্যাচার হয়েছে, সে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ এখন অবস্থান নিয়েছে। যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, তখন তরুণ প্রজন্ম শাহবাগে অবস্থান নিয়েছিল। অপরাধীদের বিপক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। আমরা এই জায়গা থেকে প্রেরণা পাই।’

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে হত্যার চেষ্টায় জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ারা ব্যর্থ হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘জাতিকে পরাধীনতার অন্ধকারে তলিয়ে দেয়া হয়েছিল। খুনি-অপরাধীদের রক্ষা করার জন্য সংবিধানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল এবং এটা ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, মুক্তিযোদ্ধাদের জায়গায় কুখ্যাত শাহ আজিজকে বসানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাংলাদেশে পুনর্বাসিত করা হয়েছে, পুরস্কৃত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অপরাধ যারা করেছে, তাদের মন্ত্রী বানানো হয়েছে। রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। বাহাত্তরের সংবিধানকে ধর্ম দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। বাংলাদেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা হয়েছে।’

নাগরিক সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি, নার্গিস তাবাসসুম জুঁই এমপি, জেলা প্রশাসক খালেদ মো. জাকির, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর