বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আনোয়ার নিয়ে উচ্চাশার প্রভাব নেই আয়-লভ্যাংশে

  •    
  • ৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:০৯

গত বছরের মে মাসেও কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৬৭ টাকা ৫০ পয়সা। চলতি বছরের এপ্রিলের শুরুতে তা দাঁড়ায় ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা। এরপর ছয় মাসে সেখান থেকে দাম প্রায় পাঁচ গুণ হয়ে একপর্যায়ে ওঠে ৪৮৩ টাকা। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল কোম্পানির আয় ও লভ্যাংশে আহামরি কোনো প্রবৃদ্ধি হয়নি।

গত ছয় মাসে নানা গুঞ্জনে শেয়ার দর পাঁচ গুণ বাড়লেও প্রকৌশল খাতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের আয় ও লভ্যাংশ খুব একটা বেড়েছে, এমনটি বলার সুযোগ নেই।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় ১ টাকা ৮৯ পয়সা বাড়ার পর কোম্পানিটি লভ্যাংশ বাড়িয়েছে ১৫ শতাংশ।

শনিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারপ্রতি পাবেন ২ টাকা করে আর প্রতি ১০টি শেয়ারের বিপরীতে একটি পাবেন বোনাস শেয়ার হিসেবে।

কোম্পানিটির সচিব তাওহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত তাদের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৯২ পয়সা।

এই লভ্যাংশ নিতে চাইলে আগামী ১৮ নভেম্বর শেয়ার ধরে রাখতে হবে বিনিয়োগকারীদের। অর্থাৎ সেদিন হবে রেকর্ড ডেট। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত হবে আগামী ১২ জানুয়ারির বার্ষিক সাধারণ সভায়।

২০১৬ সালের পর থেকে এবারই সর্বোচ্চ আয় করে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।

আগের বছর শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ২ টাকা ৩ পয়সা।

২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা নগদের পাশাপাশি প্রতি ২০টি শেয়ারে একটি বোনাস শেয়ার দিয়েছিল কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। এর আগের চার বছর টানা ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া হয়েছিল। বাকি তিন বছর শেয়ারপ্রতি ১ টাকা করে নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়েছিল।

শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যও বেড়েছে কিছুটা। আগের বছর এই সম্পদমূল্য ছিল ১০ টাকা ৮৫ পয়সা, এবার তা বেড়ে হয়েছে ১৩ টাকা ৩১ পয়সা।

এই কোম্পানিটির আয় ও লভ্যাংশে প্রবৃদ্ধির বিষয়টি নিঃসন্দেহে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তির খবর। তবে গত এক বছরে শেয়ার দর যেভাবে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটেছে, তাতে এই আয় ও লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কতটা খুশি করতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

গত বছর করোনা সংক্রমণের পর পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার দর একপর্যায়ে ৫৭ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে আসে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস ঠিক হয় ৬৭ টাকা ৫০ পয়সা।

এই দামেই বেশ কিছুদিন হাতবদল হলেও গত বছরের জুলাই থেকে অবিশ্বাস্য উত্থান শুরু হয় শেয়ার দরে। ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাপক মুনাফার সম্ভাবনা ইত্যাদি নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পর স্বল্প মূলধনি কোম্পানিটির শেয়ার দর ছুটতে থাকে লাগামহীনভাবে।

গত এপ্রিলের শুরু পর্যন্তও শেয়ার দর ছিল ১০০ টাকার নিচে। ওই মাসের শুরুতে দর ছিল ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা। এরপর তা টানা বাড়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। একপর্যায়ে দুর্বল এই কোম্পানিটির শেয়ার দর সর্বোচ্চ ওঠে ৪৮৩ টাকায়। পরে সেখান থেকে কিছুটা কমে বৃহস্পতিবার দাঁড়ায় ৪৪৩ টাকা ৬০ পয়সায়।

১৫ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধিত কোম্পানিটিতে শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার।

এ ধরনের স্বল্প মূলধনি বহু কোম্পানির শেয়ার দরই এই সময়ে বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। তবে সবগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনে স্বল্প মূলধনি বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার দরে বড় ধরনের সংশোধন এলেও দর অনেকটাই ধরে রাখতে পেরেছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং।

এ বিভাগের আরো খবর