বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সপ্তাহের ব্যবধানে এক বাড়িতে ৩ অজগর

  •    
  • ৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:১৪

বাড়ির মালিক রাবেয়া বেগম বলেন, ‘সকালে দেবরের মুরগির খামারে সাপ দেখে আমার জা আমাকে ডেকে আনে। আমরা বন বিভাগের কর্মী ও পরিবেশকর্মীদের খবর দিলে তারা সাপটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। গত ছয় মাসে আমার বাড়িতে পাঁচটি অজগর সাপ ঢুকে পড়ে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢুকেছে তিনটি।’

সিলেট নগরের পাশে মেজরটিলা এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিনটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।

মেজরটিলার সৈয়দপুর এলাকার ওই বাড়ির মুরগির ঘর থেকে সর্বশেষ অজগর উদ্ধার করা হয় শুক্রবার সকালে। বন বিভাগের কর্মীরা পার্শ্ববর্তী টিলাগড় ইকোপার্কে সাপটি অবমুক্ত করেন।

বাড়ির মালিক রাবেয়া বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকালে দেবরের মুরগির খামারে সাপ দেখে আমার জা আমাকে ডেকে আনে। আমরা বন বিভাগের কর্মী ও পরিবেশকর্মীদের খবর দিলে তারা সাপটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।’

তিনি জানান, গত ছয় মাসে তার বাড়িতে পাঁচটি অজগর সাপ ঢুকে পড়ে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢুকেছে তিনটি। প্রথম দুটি সাপ স্থানীয়রা মেরে ফেললেও পরের তিনটি উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবারের আগে ১ ও ২ অক্টোবর রাবেয়া বেগমের ঘর থেকে দুটি অজগর উদ্ধার করা হয়।

পরিবেশবাদী সংগঠন ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক আশরাফুল কবির জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আলুরতল ও বালুচর এলাকার দুইটি বাড়ি থেকে আরও দুটি অজগর উদ্ধার করেছে বন বিভাগের কর্মীরা। এগুলোও টিলাগড় ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে।

যে বাড়িগুলো থেকে সাপ উদ্ধার হয়েছে সেগুলো টিলাগড় ইকোপার্কের পাশে। এর আশপাশে অনেক টিলা ও বনজঙ্গল আছে।

বাড়িঘর থেকে এভাবে অজগর উদ্ধার হওয়া নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

তবে বন বিভাগের কর্মীরা বলছেন, আতঙ্কের কিছু নেই। নিরীহ প্রজাতির অজগর সাধারণত মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। খাবারের সন্ধানেই এরা বন ছেড়ে লোকালয়ে আসছে।

সাপ উদ্ধার ও অবমুক্তে অংশ নেয়া বন বিভাগের বনরক্ষী মাসুদ করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বনে খাবার সংকটের কারণেই সাপগুলো লোকালয়ে এসে বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ছে। যেসব বাড়িতে হাঁস-মুরগি আছে গন্ধ শুঁকে অজগর সেসব বাড়িতে ঢুকে পড়ে। হাঁস-মুরগি খাওয়া ছাড়া এরা মানুষের আর কোনো ক্ষতি করছে না।’

বন বিভাগের সিলেট বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) এসএম সাজ্জাদ হোসেন সিলেটকে অজগরের ‘হটস্পট’ উল্লেখ করে বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলে প্রচুর অজগর সাপ রয়েছে। বিশেষত এখানকার চা বাগানগুলো অজগরের নিরাপদ আশ্রয়।

ইদানীং লোকালয়ে অজগরের চলে আসার প্রবণতা বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন প্রায় প্রতি সপ্তাহেই দু-একজন ফোন করে অজগর পাওয়ার কথা জানায়। আমরা গিয়ে সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে আসি।

‘আগে চা বাগানে অনেক বনমোরগ ও কাঠবিড়ালি পাওয়া যেত। এগুলো ছিল অজগরের প্রিয় খাদ্য। এসব এখন কমে গেছে। ফলে অজগর খাদ্য সংকটে পড়েছে। তাই বন ও চা বাগানের আশপাশের যেসব বাড়িতে হাঁস-মুরগি আছে, সেসব বাড়িতে অনেক সময় অজগর ঢুকে পড়ে।’

ডিএফও এসএম সাজ্জাদ হোসেন জানান, সম্প্রতি লোকালয় থেকে তারা বেশ কিছু বাচ্চা অজগর উদ্ধার করেছেন। এতে বোঝা যায়, মা অজগর আশপাশে কোথাও এসে ডিম পেড়েছে।

অজগর নিজে আক্রান্ত না হলে কাউকে কামড়ায় না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভয়ের কিছু নেই। কোথাও অজগর দেখা গেলে বন বিভাগকে খবর দিলে আমরা উদ্ধার করে আনব।’

এ বিভাগের আরো খবর