কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে আমলি আদালতে করা মামলায় মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস পিয়াসার জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন দুই দিনের রিমান্ড শেষে পিয়াসাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
পিয়াসার পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (নারী-শিশু) স্বপন কুমার।
৩ অক্টোবর পিয়াসাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুই দিনের অনুমতি দেয় আদালত।
৬ সেপ্টেম্বর মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর, তার বাবা, মা, স্ত্রীসহ আটজনকে আসামি করে ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন। আদালত গুলশান থানার পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাপক তদন্তের নির্দেশ দেয়।
১ আগস্ট রাতে পিয়াসার বারিধারার বাসায় অভিযান চালিয়ে মদ, ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় ডিবি পুলিশ। পরদিন গুলশান থানার মামলায় পিয়াসার তিন দিনের রিমান্ড দেয় আদালত। এরপর গুলশান, ভাটারা ও খিলক্ষেত থানার আলাদা তিন মামলায় তার আট দিনের রিমান্ড দেয় আদালত। কয়েক দফা রিমান্ড শেষে পিয়াসাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২৬ সেপ্টেম্বর ভাটারা থানার মামলায় পিয়াসার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি পুলিশ।
৩০ সেপ্টেম্বর ভাটারা ও খিলক্ষেত থানায় করা মাদকের আলাদা দুই মামলায় পিয়াসার জামিন দেয় আদালত। তবে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকায় মুক্তি মেলেনি তার।