লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা জাতীয় পার্টির সব ইউনিটের নেতা-কর্মী একসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন।
আদিতমারী উপজেলা জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বৃহস্পতিবার দুপুরে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জাতীয় পার্টির লালমনিরহাট জেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব জাহিদ হাসান লিমন উপজেলা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ না করেই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেন। এতে দলের অগ্রগতিতে নানা রকম বাধা তৈরি হচ্ছে।
এ কারণে ৪ অক্টোবর আদিতমারী উপজেলা কমিটি জরুরি সভা ডাকে। এতে উপজেলার আট ইউনিয়নের কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সব নেতা-কর্মী উপস্থিত হন। সেখানে সবার সম্মতিতে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তারা জেলা কমিটির সদস্যসচিবের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
উপজেলা কমিটির পদত্যাগ করা সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পার্টির চেয়ারম্যান অদক্ষ ও অল্প বয়সী একজনকে জেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিবের দায়িত্ব দিয়ে কোনোভাবেই ঠিক কাজ করেননি। সদস্যসচিবের একক ও মনগড়া কিছু সিদ্ধান্তে পার্টির সাংগঠনিক ভিত্তি ক্রমেই দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
‘তিনি উপজেলা জাতীয় পার্টির সঙ্গে পরামর্শ না করে এককভাবে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করেন যা দলকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে। দলে আমাদের কোনো মূল্যায়ন না থাকায় সব নেতা-কর্মী একসঙ্গে পদত্যাগ করেছি।’
সদস্য সচিব লিমন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি মাত্র তিন মাস আগে দায়িত্ব নিয়েছি। আদিতমারী উপজেলা জাতীয় পার্টির পদত্যাগ করা সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুর রশীদ ও আবুল কালামকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত থাকায় আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে। এ কারণে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে নামমাত্র পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে। একসঙ্গে সব নেতাকর্মীর পদত্যাগের কথা ভিত্তিহীন।’
জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও লালমনিরহাট সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক নজরুল ইসলামও জানান, যে দু-চারজন পদত্যাগ করেছেন তাদের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দল থেকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে।